গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে আওয়ামী লীগ মাথা ঘামাচ্ছে না বলে সাফ জানিয়েছে দিলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমন্বয় টিমের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান উপস্থিত ছিলেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিটিংয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করতে চাই। কেউ যাতে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় নির্বাচনের আগে এ নির্বাচন দেশবাসীর জন্য আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়ার জন্য সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, গাজীপুরের ভোটার সংখ্যা প্রায় ১২ লাখের কাছাকাছি, ৯টি থানা, ৪৮০টি কেন্দ্র ও ৫৭টি ওয়ার্ড। একটা বিশাল এলাকা। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে গেলে বিশাল কর্মী বাহিনী দরকার। তাই গাজীপুরে সর্বস্তরের জনগণ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতার পক্ষের সব মানুষকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনে জয়লাভ করতে চাই। ভোটের মধ্যদিয়ে আমরা জয়লাভ করতে চাই। সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ ও আগুন সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে কেউ যেন নির্বাচন বানচাল করতে না পারে, সেজন্য কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য সেখানে আমাদের একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকবে। সেখান থেকে নির্বাচন পরিচালনা করব। নির্বাচন পরিচালনার জন্য থানাভিত্তিক কমিটি হবে। ভোটকেন্দ্র ভিত্তিকও কমিটি হবে। স্তরে স্তরে কমিটিগুলো সাজাব। ৪৮০টির মধ্যে বেশিরভাগ কমিটি হয়ে গেছে। আগামী ৯ তারিখের আগে নির্বাচনের সব কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। প্রত্যেকে যেন ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে চাই। আশা করি নৌকার বিজয় হবে।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সমন্বয়ক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, উপদেষ্টা ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন নাহার, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।