পরিদর্শন শেষে আইজিপি
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সব অপরাধ গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘটনা গুরুত্বে¡র সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। গতকাল বিকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকালে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এমন কথা বলেছেন তিনি।
আইজিপি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত প্রতিটি ঘটনা আমাদের নজরে রয়েছে। আমরা সংঘটিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। এবং করণীয় নির্ধারণ করতেও কাজ করছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যারাই অপরাধ সংঘটিত করুক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা যে ভঙ্গ করবে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
সম্প্রতি কক্সবাজারে ১০ মার্ডার নিয়ে আইজিপি বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ, র্যাব, সিআইডিসহ বিভিন্ন দপ্তর কাজ করছে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অনেককে আটক করা হয়েছে। আটক তিনজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সময় রহস্য বের করা হবে।
টেকনাফে সংঘটিত অপহরণ নিয়ে আইজিপি বলেন, সম্প্রতি টেকনাফে কিছু অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অপহরণের সঙ্গে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তাদের চিহ্নিত করা গেলে দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, আমাদের অনেক সফলতা রয়েছে। সকলের সহযোগিতা না পেলে এ সফলতা আসত না। ভবিষ্যতে দ্রুত সেবা পেতে আপনারা জাতীয় সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করবেন। আপনারা শুধু তথ্য দেবেন। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।
আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের নিয়ে আইজিপি বলেন, কেউ ভালো হতে চাইলে তাকে সুযোগ দিতে হয়।
প্রধানমন্ত্রীর উদারতার মাধ্যমে দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাওয়ায় জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু বিষয়টির আইনি প্রক্রিয়াটা অনেক লম্বা এবং ধারাবাহিক। ধীরে ধীরে তাদের মামলাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে আমরা সর্বশেষ পর্যন্ত দেখব আত্মসমর্পণ করা দস্যুরা সঠিক পথে ফিরছে কি না।
তিনি বলেন, যেখানে অপরাধ সেখানে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে ভালো কাজগুলোতে সহযোগিতা থাকবে। আপনারা নিজের সন্তানদের প্রতি সজাগ থাকবেন। আপনার সন্তান সঠিক সময় বাসায় ফিরছে কি না, পড়ার টেবিলে বসছে কি না, নিয়মিত খেলার মাঠে থাকে কি না তা খতিয়ে দেখবেন। এতে সমাজে অনেক অপরাধ কমে আসবে।
এ সময় অতিরিক্ত আইপিজিপি (ক্রাইম এন্ড অপ্স) আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি ড. হাসান উল হায়দার, ডিআইজি জামিল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।