বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদেরকে আর ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না।
বুধবার ওয়াশিংটনে রিজ কার্লটন হোটেলে বাংলাদেশি প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের জবাবে দিতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সাবেক মন্ত্রী সুনীল গুপ্তের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বুধবার ওয়াশিংটনে বলেছেন যে, কোনো মতেই স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। আমিও একই কথা বলি- কোনো মতেই স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। তবে আওয়ামী লীগ আজকে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের যে লক্ষ্য ছিল, যে আশা ছিল, যে আকাঙ্ক্ষা ছিল- একটা গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, একটা বহুদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা- সেটাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়ে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই সরকার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যে সরকার মানুষের চোখের ভাষা বুঝতে পারে না, যে সরকার দেয়ালের লিখন বুঝতে পারে না, যে সরকার মানুষের প্রয়োজন বুঝতে পারে না- তাকে আমরা গণশত্রু ছাড়া কী ভাবতে পারি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে, এ দেশের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে পতন ঘটিয়েছে, এ দেশের মানুষ লড়াই করছে সংগ্রাম করেছে; এ লড়াইয়ে অবশ্যই গণতন্ত্রের বিজয় হবে। এ লড়াইয়ে অবশ্যই যারা গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম করছেন, তাদের বিজয় হবে। যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তারা পরাজিত হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সমস্ত দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটা ঐক্য গড়েছি। তাদের নিয়ে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করছি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। সংগঠনের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান বিজুর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি নেতা জয়ন্ত কুমার কুণ্ড প্রমুখ।