দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, মন খারাপের সময়ে আমাদের আয়োজন করে খেতে বসতে মন চায় না। তখন অতিরিক্ত লবণ দেয়া স্ন্যাকস কিংবা মিষ্টি খাবারের দিকে আমাদের ঝোঁক বাড়ে। এতে আমাদের মস্তিষ্ক সাময়িক আনন্দ লাভ করে, হয়তো দুশ্চিন্তাও খানিক সময়ের জন্য কমতে পারে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এ ধরনের খাবার উপকারের বদলে বেশি ক্ষতি করে এবং আমাদের বিষণ্নতা ও উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে। প্রক্রিয়াজাত মাংস, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, চা এবং কফি কর্টিসল উৎপাদন বাড়াতে পারে। ফলে বাড়ে উদ্বেগও। অন্যদিকে, এমন কিছু খাবার রয়েছে যা উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তার মাত্রা কমাতে কাজ করে। কাজু, বেরি, কমলা, ডার্ক চকলেট, হলুদ এমন কিছু সুপারফুড আছে যা দুশ্চিন্তা কমায়। আমরা সারাদিনে যা খাই তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই খেতে হবে বুঝেশুনে। দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য মুঠো মুঠো ওষুধ বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বদলে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর ও সহায়ক খাবার। তবে দুশ্চিন্তার মাত্রা অতিরিক্ত হলে নিতে হবে সঠিক চিকিৎসা ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ। ভারতের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং পুষ্টি বিশেষজ্ঞ উমা নাইডু তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে উল্লেখ করেছেন দুশ্চিন্তা দূর করতে পারে এমন ১০ খাবারের কথা। জেনে নিন- দুশ্চিন্তা হলে নিয়মিত কাজু বাদাম খেতে পারেন। কারণ এর উচ্চ ম্যাগনেসিয়াম উপদান প্রশান্তিতে সহায়তা করতে পারে। বেরিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীর এবং মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে পারে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দুশ্চিন্তাকে আরও খারাপ দিকে নিয়ে যেতে পারে। ব্রাসেলস স্প্রাউট ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলোকে কাজে বাধা দেয়। এই গ্রন্থি স্ট্রেস হরমোন তৈরি করে। স্যামন ফিশে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি দুশ্চিন্তার বিভিন্ন লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।
হলুদে আছে কারকিউমিন। এই উপাদান দুশ্চিন্তা কমাতে দারুণ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। আচারের প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। ফলে মেজাজও থাকে ভালো। অ্যাভোকাডোতে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং বি ভিটামিন থাকে যা স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করতে পারে। ডার্ক চকোলেটে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডের মন ভালো করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গ্রিন টিতে থাকে এল-থেনাইন নামক একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা ঘুমের উন্নতি করতে পারে। ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সব খাবার শরীরে শান্ত প্রভাব ফেলতে পারে।