বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম শাহাদতবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, গণতন্ত্রের বিকাশে শহিদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের মতো ত্যাগী, সংগ্রামী ও জনদরদি নেতৃত্ব নতুন প্রজন্মকে আলোর পথ দেখাবে। আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল একজন জননন্দিত শ্রমিক নেতা। কৃষক-শ্রমিক তথা আপামর মেহনতি মানুষেরও তিনি ছিলেন অতি আপনজন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, গণতন্ত্রকামী এই ত্যাগী নেতা শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সব সময় যেমন সোচ্চার ছিলেন, তেমনি মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়েও তিনি কখনো পিছপা হননি। এজন্য তাকে বহুবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। মেহনতি মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়সহ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মো. সাহাবুদ্দিন জননেতা শহিদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের বিদেহি আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শ্রমিক নেতা আহ্সান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রম এখনও চলছে। তিনি আশা করেন, বিচারকার্য চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়ে বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর হবে।
‘স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শহিদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে তিনি গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজর (বিলস) চেয়ারম্যান এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শেখ হাসিনা শহিদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের বিদেহি আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।