অবসর বা মৃত নাবিকের সন্তানদের একই পেশায় প্রবেশের ট্রেনিংয়ে ২০ শতাংশ কোটা কেন ফিরে দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ সি ফেয়ারারস ইউনিয়নের করা এক রিটের শুনানি শেষে গত মঙ্গলবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। রিটটি করেন ব্যারিস্টার খন্দকার এমএস কাউসার। রিটের রুলের বিষয়টি জানিয়ে এই আইনজীবী বলেন, ‘উত্তাল সমুদ্রে বছরের পর বছর জীবন অতিবাহিত করে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যকে টিকিয়ে রাখা নাবিকদের অবসর গ্রহণ বা মৃত্যুর পর তাদের সন্তানরা এ পেশায় প্রবেশের যে ট্রেনিং হয় তাতে ২০ শতাংশ কোটা পেয়ে আসছিল। কিন্তু ২০২২ সালে এক নীতিমালার মাধ্যমে এ কোটা কমিয়ে ৫ শতাংশ করে দেয়া হয়। ফলে অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত নাবিকের সন্তানদের অনেক দিন ধরে পেয়ে আসা ২০ শতাংশ কোটা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। তাই ২০ শতাংশ কোটা ফিরে পাওয়ার জন্য নাবিকদের সন্তানদের পক্ষে বাংলাদেশ সি ফেয়ারারস ইউনিয়ন হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন।’ ব্যারিস্টার খন্দকার এমএস কাউসার বলেন, রিটের শুনানিতে আমরা বলেছি যে, অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর সদস্যদের জন্য এ কোটা যেহেতু অনেক বছর ধরে অপরিবর্তিত আছে, সেহেতু নাবিক সন্তানদের এ কোটা হঠাৎ কমিয়ে দেয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এছাড়া এ বিষয়ে আমাদের দেয়া লিগ্যাল নোটিশে বিবাদীদের একজন স্বীকার করেছেন নাবিক সন্তানদের ২০ শতাংশ কোটা দাবি যৌক্তিক। অবশেষে আদালত অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত নাবিকের সন্তানদের কোটা ফিরে পাওয়ার বিষয়ে রুল জারি করেন।