দেশের প্রচলিত যেসব আইনে ‘পাকিস্তান’, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’ এবং ‘ইস্ট পাকিস্তান’ শব্দ রয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মুহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে আইন অনুসারে দেশের প্রচলিত আইন থেকে ‘পাকিস্তান’, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’ এবং ‘ইস্ট পাকিস্তান’ শব্দ বাদ দিয়ে সংশোধন করতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. রবিউল আলম। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
আইনজীবী কামরুল ইসলাম জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রচলিত (পাকিস্তান আমলের) আইনগুলো অ্যাডাপ্ট করা হয়। তখন ১৯৭৩ সালের ‘বাংলাদেশ লজ (রিভিশন ও ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট’-এ ‘পাকিস্তান’, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’ এবং ‘ইস্ট পাকিস্তান’ শব্দগুলো বাদ দিতে বলা হয়। এরপর কিছু আইনে তা বাদ দেয়া হয়। তবে এখনো অনেক আইনে শব্দগুলো রয়ে যায়। যেমন- দ্য ক্যাটল (প্রিভেনশন অব ট্রেসপাস) অর্ডিন্যান্স, ১৯৫৯, দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১; দ্য অ্যাগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১; দ্য অ্যাগ্রিকালচারাল পেস্টস অর্ডিন্যান্স, ১৯৬২; দ্যা ইনডিসেন্ট অ্যাডভার্টাইজমেন্টস প্রভিহিশন অ্যাক্ট, ১৯৬২; দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট, ১৯৬৩; দ্য পাইলটেজ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এবং দ্য গর্ভনমেন্ট লোকাল অথরিটি ল্যান্ডস অ্যান্ড বিল্ডিংস (রিকভারি অব পজেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৭০ উল্লেখযোগ্য। এগুলোতে এসব শব্দ থাকাটা ১৯৭৩ সালের আইনের লঙ্ঘন বিধায় আইনজীবী মো. রবিউল আলম রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। আর আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এসব আইনের তালিকা করতে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন। এছাড়া ৬০ দিনের একটি তালিকা দাখিল করতে হবে বলে জানান আইনজীবী কামরুল ইসলাম।