কক্সবাজার সদর উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে গড়ে তোলা পাকা স্থাপনা ভেঙে ৩ একর বনভূমি উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ। জেলা প্রশাসন, র্যাব, বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর গত শনিবার ও রোববার পৃথক যৌথ অভিযান চালিয়ে পাহাড়ে এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। অভিযানে নেতৃত্বে দেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকারিয়া।
দক্ষিণ বনবিভাগের সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা বলেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জের ঝিলংজা মৌজার সরকারি রক্ষিত বন ভূমির লিংকরোড বিটের মোহরীপাড়া, কলাতলী বিটের চন্দ্রিমা এলাকা এবং কলাতলীর লাইটহাউজ পাড়ায় বনের জায়গায় পাহাড় কেটে দালান নির্মাণের তথ্য আসে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সরোয়ার আলমের নির্দেশনায় কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে নির্মিতব্য পাকা দেয়াল ও ঘর ভেঙে দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় পাহাড় দখল করে মাটি কাটার পর ঘর তৈরি করা লিংক রোড মুহুরীপাড়ার আহমেদ করিমসহ একাধিক জনের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে মামলা হচ্ছে। এছাড়া গত রোববার কলাতলীর লাইটহাউজ এলাকার বাঘঘোনা নামক স্থানে অবৈধভাবে সরকারি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত পাহাড় কেটে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে ভূমি দখলের চেষ্টা প্রতিহত করে উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া শহরের লারপাড়া ও পুলিশ লাইনের পেছনে পাহাড় কাটা স্থান পরিদর্শন করে পরিবেশ আইনের আওতায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সরোয়ার আলম জানান, কক্সবাজারে বনভূমি পরিমাণের বিপরীতে লোকবল কম। কিন্তু বনকে অবৈধভাবে ক্ষতবিক্ষত ও ভোগ করার লোকজন বেশি। দখলবাজ ও ক্ষমতাবানরা একীভূত হয়ে পাহাড় ও বন ধ্বংস করায় অনেক সময় অনেক কিছু বনকর্মীদের অগোচরে থাকে। তবে যখনই কোনো পাহাড় কর্তন ও বনে পাকা দালান গড়ার তথ্য আসে, তাৎক্ষণিক অভিযান চালানো হয়।