সম্প্রতি শস্যভাণ্ডার খ্যাত নাটোরের চলনবিলে নতুন উদ্ভাবিত বিনা-২৫ ধানের অভিষেক হয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিনা-২৫ ধানের বীজ এ বছরই প্রথমবারের মতো কৃষক পর্যায়ে অবমুক্ত করে চাষাবাদ করা হয়।
প্রাপ্ত পাঁচ কেজি বীজ চলনবিলের কৈগ্রামে খুরশেদ আলমের এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করা হয়। ধান কেটে বিঘায় ফলন পাওয়া গেছে ২৩ মণ। শস্য কর্তনকালে এলাকার অসংখ্য কৃষক নতুন উদ্ভাবিত ধানের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য খোরশেদ আলমের প্রদর্শনী খামারে ভিড় করেন। কৃষক আতাউর রহমান বলেন, বিনা-২৫ সুগন্ধিযুক্ত সরু চাল। এর চাহিদা হবে ব্যাপক। সামনের বছরে এ ধান চাষাবাদের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন সমবেত কৃষক জিল্লুর রহমান, মোজাফফর হোসেন, আইচান আলীসহ অন্যরা। প্রদর্শনী খামারের স্বত্বাধিকারী কৃষক খোরশেদ আলম বলেন, আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। ভালো ফলন পেয়েছি। ধানের মানও খুব ভালো। আশপাশের কৃষকদের আগ্রহ অনেক। তাই ফলনের সবটাই বীজ আকারে সংরক্ষণ করব। সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেলিম রেজা জানান, বিনা-২৫ ধান এবারই প্রথম কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে চাষ করা হয়েছে। প্রদর্শনী খামারের শস্য কর্তনকালে উপস্থিত কৃষকের আগ্রহ দেখে আমরা অভিভূত। ফলাফলও অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এ জাত ভবিষ্যতের জন্য অনেক সম্ভাবনাময়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামীতে এ ধান জেলার অন্যান্য এলাকাতে ছড়িয়ে যাবে। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাবে।