ওয়াগনার প্রধান

রুশ সেনারা পালিয়েছে

প্রকাশ : ১১ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ইউক্রেনের বাখমুতে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যেই রাশিয়ার একটি সামরিক ইউনিটের সেনারা পালিয়েছে বলে দাবি করেছেন রুশ ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কিয়েভের সম্ভাব্য পাল্টা আক্রমণের আগেই এমন খবর এলো। টেলিগ্রামে এক ভিডিও বার্তায় গত মঙ্গলবার তিনি জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ইউনিট, বাখমুতের কাছের নিজেদের অবস্থান পরিত্যক্ত করে আমাদের ফ্ল্যাঙ্ক থেকে পালিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, কমান্ডারদের নির্বুদ্ধিতার জন্য রুশ সেনারা পালিয়ে যাচ্ছেন। কমান্ডারের বোকামির জন্য কোনো সেনার মৃত্যু কাম্য নয়। তারা যে নির্দেশনা পায় এটি পুরোপুরি বেআইনি। ওয়াগনার প্রধানের এমন বিবৃতির পর গত মঙ্গলবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, অ্যাসল্ট সেনারা বাখমুতে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। রুশ প্যারাট্রুপাররা প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাখমুতে সেনা পালিয়ে যাওয়া নিয়ে ইভজেনি প্রিগোজিন’র অভিযোগ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ওয়াগনার প্রধান ভিডিও বার্তায় আরো বলেন, এখন আমার ভাড়াটে সেনারা যদি বাখমুতের রণাঙ্গন ছেড়ে চলে যায়, এটি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বাখমুতে গোলাবারুদ সরবরাহ প্রসঙ্গে বলেন, যদি কোনো গোলাবারুদ না থাকে, তাহলে আমাদের অবস্থান ছেড়ে দিয়ে প্রশ্ন রাখব। কে আসলে মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে? স্পষ্টতই, একজন। কম গোলাবারুদ সবরাহের আদেশ যিনি দিয়েছেন। লড়াইয়ের জন্য আরো কয়েক দিন গোলাবারুদ চেয়ে মস্কোর কাছে আহ্বান জানাবেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

গোলাবারুদের তীব্র ঘাটতির কথা জানিয়ে সম্প্রতি বাখমুতে থাকা ভাড়াটে সেনাদের সরিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন প্রিগোজিন। হুমকির কয়েক দিনের মাথায় সামরিক সহায়তা আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ৯ মাস ধরে বাখমুত দখলের জন্য আক্রমণ চালিয়ে আসছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এখানে লড়াই শুরুর আগে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ বাস করতেন। কিন্তু এখন একেবারই জনশূন্য। বেশিরভাগই পালিয়ে গেছে। সূত্র : আলজাজিরা