বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গাজীপুরে ঘরে ঢুকে কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি সাইদুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত বুধবার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান সাংবাদিকদের বলেন, সাইদুলকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
ওই শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, সাইদুল কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তারকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তা প্রত্যাখ্যান করায় তিনি সোমবার রাতে ঘরে ঢুকে রাবেয়াকে কুপিয়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়। ঘটনাটি বেশ আলোচিত হয় বলে র্যাবও আসামি ধরতে অভিযানে নামে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে গাজীপুরের সালনা এলাকায় বাসায় ঢুকে কুপিয়ে কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তারকে হত্যা করা হয়। এ সময় বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে রাবেয়ার মা ও তিন বোনকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তার মাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়। ওই ঘটনায় সাইদুলের বিরুদ্ধে গাজীপুর সদর থানায় মামলা করেন রাবেয়ার বাবা আবদুর রউফ। রাবেয়া ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
রাবেয়ার বাবা আবদুর রউফ বলেন, ‘সাইদুল আমাদের প্রাইভেট শিক্ষক ছিল। ছোট মেয়েদের সে পবিত্র কোরআন পড়াত। সে আমার বড় মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে আমরা সরাসরি না করে দিই। এ কারণেই সে বাড়িতে ঢুকে আমার মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাইদুল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় ঢুকেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে রাবেয়ার মাথা, গলা, হাত ও পায়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। তার মা ও দুই বোন ঠেকানোর চেষ্টা করলে সাইদুল তাদেরও আঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় রাবেয়াকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাতে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।