ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হেডফোনে দীর্ঘ সময় নয়

হেডফোনে দীর্ঘ সময় নয়

বর্তমানে অনেকেরই অন্যতম সঙ্গী হলো হেডফোন। কারণ উচ্চ শব্দে গান বা অন্যকিছু শোনার কাজ করলে আশপাশের অনেকের কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে। যে কারণে নিজের মতো করে শোনার জন্য হেডফোনই এখন সঙ্গী। তাই যাত্রাপথ থেকে শুরু করে অফিস, সব জায়গাতেই হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনার ব্যাগেও নিশ্চয়ই একটি হেডফোন বা ইয়ারফোন থাকে? এর মাধ্যমে গান শোনা কিংবা অফিসের জরুরি মিটিংয়ে জয়েন, সবকিছুই হয়ে থাকে। কিন্তু এ হেডফোন দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলে তা আপনার জন্য উপকারী নাও হতে পারে। আপনার কানের জন্য হেডফোন কতটা ক্ষতিকর তা জেনে নেয়া প্রয়োজন। দীর্ঘ সময় এটি ব্যবহার করলে তা মস্তিষ্কে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। জেনে নিন কী ক্ষতি হতে পারে-

কানে যন্ত্রণা হতে পারে : ইয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহারের আগে অবশ্যই নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তারপর ব্যবহার করবেন। দীর্ঘসময় ধরে গান শোনার পর যদি কানে অদ্ভুত শব্দ অনুরণিত হতে থাকে এবং কানে ব্যথা হয়, তবে সতর্ক হোন। হতে পারে এটি আপনার শ্রবণশক্তির দীর্ঘস্থায়ী কোনো ক্ষতির লক্ষণ। আমাদের শোনা শব্দ যদি ৯০ ডেসিবেল বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার হয় তবে সেই আওয়াহ সরাসরি কানে লাগলে এ ধরনের সমস্যা হয়।

মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব : হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করার সময় তাতে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ উৎপন্ন হয়। তাই এই যন্ত্র দীর্ঘসময় ব্যবহার করলে তা মস্তিষ্কের ওপর খুব নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই প্রয়োজনে হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করলেও অন্যান্য সময় সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করুন। প্রয়োজন ছাড়া হেডফোন ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।

বধিরতার ভয় : হেডফোন থেকে যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ উৎপন্ন হয় তা মস্তিষ্কে ক্ষতির পাশাপাশি শ্রবণশক্তির ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করে। এছাড়া এমন অনেকে আছেন যারা অন্যদের সঙ্গে হেডফোন শেয়ার করে থাকেন। এক্ষেত্রে ইয়ারফোনের স্পঞ্জ-এর মধ্যে দিয়ে একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু চলে যায়। ফলে বেড়ে যায় কানে সংক্রমণের ভয়। তাই এ ধরনের অভ্যাস এড়িয়ে চলুন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত