মাঙ্কিপক্সের বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা

প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনাভাইরাসের পরে এবার এমপক্স বা মাঙ্কিপক্স নিয়েও সুখবর জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বৃহস্পতিবার সংস্থাটি মাঙ্কিপক্স সংক্রান্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করেছে। রোগটি আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল এবং বছরখানেক আগে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল। বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ কমে যাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। তবে তিনি বলেছেন, এই রোগটি এখনো একটি হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে, বিশেষ করে আফ্রিকার সেই অঞ্চলগুলোতে যেখানে এই ভাইরাসটি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে

করোনাভাইরাস মহামারি আর ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ নয় বলে ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর এরপরই মাঙ্কিপক্স সংক্রান্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করল ডব্লিউএইচও।

সংস্থাটির প্রধান অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তবে কোভিড-১৯ এর মতো এর অর্থ এই নয় যে, কাজ শেষ হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘এমপক্স এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা শেষ হয়ে গেলেও উভয়ের জন্যই সংক্রমণের পুনরুত্থান দেখা দেওয়ার হুমকি রয়ে গেছে। উভয় ভাইরাসই সঞ্চালিত হতে থাকে এবং উভয় ভাইরাসই (সংক্রমিতদের) মৃত্যু ঘটাতে থাকে।’ গত বছরের জুলাই মাসে মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল ডব্লিউএইচও। কিন্তু তারপর থেকে এই রোগে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাবের সময় ১১১টি দেশ থেকে ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার এবং তাদের মধ্যে ১৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া পূর্বে তিন মাসের তুলনায় গত তিন মাসে বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ৯০ শতাংশ কম রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস।

উল্লেখ্য, গত বছর থেকে মাক্সিপক্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। অর্থাৎ প্রায় এক বছরের মাথাতেই এই সংক্রমণকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা থেকে বাদ দেয়ার কথা ঘোষণা করল ডব্লিউএইচও।