ঢাকায় সফররত মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজ সিং রুপন ও তার স্ত্রী সায়ক্তা রুপন গতকাল সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি সেখানে প্রার্থনা করেন এবং পূজা দেন। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মণীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, ‘মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজ সিং রুপন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মন্দিরে পৌঁছান এবং শঙ্খ বাজিয়ে ও উলু ধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানানো হয়।’
তিনি জানান, অনুষ্ঠানে মরিশাসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আরো পাঁচজন প্রতিনিধি ছিলেন। মন্দিরে পূজা দেয়ার পর পৃথ্বীরাজ সিং রুপন, তার স্ত্রী ও অন্য প্রতিনিধিরা প্রসাদ গ্রহণ করেন। পরিদর্শনের সময়, মন্দির কর্তৃপক্ষ পৃথ্বীরাজ সিং রুপনকে একটি উটোরিও (উৎসবের স্কার্ফ) দিয়ে অভ্যর্থনা জানান এবং একটি ক্রেস্ট উপহার দেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জেএল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্র নাথ পোদ্দার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল কুমার চট্টোপাধ্যায়, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির রমেন মণ্ডল, প্রবীণ নেতা অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক, স্বপন সাহা, সুব্রত চৌধুরী, বাসুদেব ধর, মিলন কান্তি দত্ত এবং জয়ন্ত কুমার দে প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পৃথ্বীরাজ সিং রুপন নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং এ উপলক্ষ্যে একটি ফটো সেশনে অংশ নেন। সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি মন্দির প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা : এদিকে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজ সিং রুপন। গত বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে পৌঁছলে মরিশাসের প্রেসিডেন্টকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বঙ্গবন্ধুর নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল পৃথ্বীরাজ সিং রুপনকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর ঘুরে দেখান। পৃথি¦রাজ সিং এ সময় বাংলাদেশ জন্মের রক্তস্নাত ইতিহাস এবং শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন সংগ্রাম সম্পর্কে অবহিত হন। তিনি ৭৫-এর নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের স্মৃতির প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতির জনকের স্মারক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এর আগে, সকাল সাড়ে ৮টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।