৬ বছর পর আজ বশেমুরকৃবি’র চতুর্থ সমাবর্তন
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের (বশেমুরকৃবি) চতুর্থ সমাবর্তন আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুশাসনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমির সম্মানিত ফেলো এবং কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজস্থানের বিরলা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শৌভিক ভট্টাচার্য্য।
বশেমুরকৃবির চতুর্থ সমাবর্তনে মোট ২ হাজার ৩২০ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ৬০১ জন বিএস (কৃষি), ২৭৭ জন বিএস (ফিশারিজ), ২৩২ জন ডিভিএম, ৩৩৫ জন বিএস (কৃষি অর্থনীতি), ৮৪০ জন এমএস এবং ৩৫ জন পিএইচডি শিক্ষার্থী। এবারের সমাবর্তনে মোট ১ হাজার ৩০০ জন গ্র্যাজুয়েট এরই মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে শুধু এমএস ও পিএইচডি থেকে ২০৬ জন এবং বিএস/ডিভিএম থেকে ৮৬৯ জন ও উভয় ডিগ্রি সম্পন্নকারী ২২৫ জন গ্র্যাজুয়েট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। ইতোপূর্বে ইনস্টিটিউট অব পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ ইন অ্যাগ্রিকালচারের (ইপসা) প্রথম ও দ্বিতীয় সমাবর্তনে সর্বমোট ১৬১ জন শিক্ষার্থীকে এমএস এবং পাঁচজন শিক্ষার্থীকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে বশেমুরকৃবি’র প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সমাবর্তনে মোট ২ হাজার ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে বিএস, এমএস ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সমাবর্তনের বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। সমাবর্তন ঘিরে গ্র্যাজুয়েটরাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। গ্র্যাজুয়েট ও শিক্ষকদের সমাবর্তন শোভাযাত্রার মহড়া চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে আয়োজিত সমাবর্তন অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে রয়েছে অতিথি ও গ্র্যাজুয়েটদের আসন গ্রহণ; সমাবর্তন শোভাযাত্রা সহকারে সমাবর্তন ভেন্যুতে প্রবেশ। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়ার স্বাগত বক্তব্য। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি থাকবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।