মোখার প্রভাব
কক্সবাজার সৈকতের পর্যটক সেবার সব কার্যক্রম বন্ধ
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকসেবাসহ সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কাজ বন্ধ রেখেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ।
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা দরকার। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগরের পানি ধীরে ধীরে উত্তাল হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। সতর্কতা অবলম্বন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। অনেক পর্যটক আমাদের বিধিনিষেধ মানছেন না। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তায় স্বার্থে সমুদ্রসৈকতের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি জানান, বিশেষ করে পর্যটক সেবা কিটকট (চেয়ার), ঘোড়া, ওয়াটার বাইক, বিচ বাইক, চটপটির দোকান, ভ্রাম্যমাণ দোকান, ছাতা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেটসহ বিচের আশপাশের যেসব দোকানপাট আছে, সেগুলো সাময়িক বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার খুলে দেয়া হবে। এ সময় আমাদের অগোচরে কেউ যেন দোকান খুলতে না পারে, সেজন্য দোকান মালিক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার কিটকট (চেয়ার) সমবায় সমিতির সভাপতি মাহবুব বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গতকাল বিকালে জেলা প্রশাসন থেকে কিটকট (চেয়ার) বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়। আমরা সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছি।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে গতকাল সকাল থেকে কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে সামান্য বৃষ্টি হয়। কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, শুধু বৃষ্টি নয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সব থমকে আছে। আজ বিকাল কিংবা সন্ধ্যা থেকে মোখার প্রভাব সম্পর্কে আমরা বুঝতে পারব। তবে, প্রাথমিকভাবে তাপমাত্রা কমে যাওয়াকে মোখার প্রভাব বলে মনে করছি। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ (শুক্রবার) ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। বর্তমানে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখে যেতে বলা হয়েছে। মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে উপকূলে চলে আসার জন্য বলা হয়েছে। এ সময়ে জনগণকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে।