সুষম সমাজ গঠনে সুশিক্ষার বিকল্প নেই : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) চতুর্থ সমাবর্তন গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুশাসনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমির সম্মানিত ফেলো এবং কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজস্থানের বিরলা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এন্ড সায়েন্স এর সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শৌভিক ভট্টাচার্য্য। সমাবর্তনে ২৩২০ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়, এর মধ্যে ৬০১ জন বিএস (কৃষি), ২৭৭ জন বিএস (ফিশারিজ), ২৩২ জন ডিভিএম, ৩৩৫ জন বিএস (কৃষি অর্থনীতি), ৮৪০ জন এমএস এবং ৩৫ জন পিএইচডি শিক্ষার্থী। বশেমুকৃবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রফেসর ড. শৌভিক ভট্টাচার্য্য গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা চমৎকার মানবিক পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে বিশাল কর্মজীবনে প্রবেশ করে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ ও জাতির মুখ উজ্জ্বল করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গে বলেন, উন্নত শিক্ষাদান পদ্ধতি ও ফলপ্রসু গবেষণার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

সমাবর্তনের মাহেন্দ্রক্ষণে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষকের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন এবং তিনিই কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়ে চিরঋণী করে গেছেন। তিনি কৃষিতে বঙ্গবন্ধুর কৃষিবান্ধব নীতির কথা কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী ঐতিহাসিক কৃষি নীতি এবং সে আলোকে বর্তমান সরকারের গৃহীত বাস্তবমূখী পদক্ষেপের ফলে কৃষিতে আজ বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে।

সম্মানিত অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল গ্র্যাজুয়েটদের উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের কৃষিসহ সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের কাঙ্ক্ষিত ডিগ্রি অর্জনে সমাজ ও রাষ্ট্রের ব্যয় অধিক। তাই তোমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে।

স্বাগত বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন- তোমরা দেশপ্রেম, মানবীক মূল্যবোধ ও সৃজনশীলতা দিয়ে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দেশের কল্যাণে কাজ করবে এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আত্মনিয়োগ করবে। পরিশেষে তিনি সম্মানিত অতিথি, সমাবর্তন বক্তা এবং শিক্ষামন্ত্রীসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের সনদপত্র শিক্ষামন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন অনুষদীয় ডিনরা।