অন্যরকম

মেঘ-বৃষ্টির বিয়ে!

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

বরের নাম মেঘ। কনে বৃষ্টি। শাড়ি, কাপড় দিয়ে সাজানো হয় বর-কনেকে। কপালে টিপ আর পায়ে আলতা দেয়া হয় কনের। সম্প্রতি ৯ লাখ ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা দেনমোহরে বৃষ্টিকে ঘরে তুলে নিয়েছে মেঘ। বিয়ের পরদিন গত বৃহস্পতিবার বর মেঘের বাড়িতে আয়োজন করা বৌভাতের। নিমন্ত্রণ পেয়ে বৌভাত অনুষ্ঠানে অংশ নেন অনেকেই। হলুদ বাটা, গায়ে হলুদ, দল বেঁধে বিয়ের গান, সবই ছিল বিয়েতে। তবে এটি কোনো মানুষের বিয়ে নয়। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বৃষ্টির আশায় দুটি ব্যাঙের এমন প্রতীকী বিয়ের আয়োজন করা হয়। যদিও এটি কুসংস্কার তারপরও ব্যাঙের এ বিয়ে দেখতে আগ্রহের কমতি ছিল না মানুষের মাঝে। বর মেঘের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় উপজেলার ভাকুড়া খালপাড়ার আনিসুরের বাড়িতে। আর কনে বৃষ্টির হলুদ হয় নারায়ণপুর গ্রামের আমজাদ আলীর বাড়িতে। শাড়ি, কাপড় দিয়ে সাজানো হয় বর-কনেকে। টিপ ও অলতাও পরানো হয় কনে বৃষ্টিকে। বিকালে গায়ে হলুদ পর্ব শেষ করে সন্ধ্যায় ভাকুড়া খালপাড়া থেকে বরযাত্রী নিয়ে নারায়ণপুরে কনে বৃষ্টির বাড়িতে আসে বর পক্ষ। খাওয়া-দাওয়া শেষে কাজী ডেকে দেন মোহর ধার্য করে সম্পন্ন হয় বিয়ে। কনে বৃষ্টির প্রতীকী বাবা আমজাদ আলী জানান, এ বিয়ের দেন মোহর ধার্য করা হয় ৯ লাখ ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। এর মধ্যে ৩ লাখ ৩ হাজার ৩৯৯ টাকা এবং অবশিষ্ট টাকা বাকি রেখে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। বিয়ে শেষে উপস্থিত লোকজনের মাঝে মিষ্টিও বিতরণ করা হয়। মিনারা বেগম নামে এক গৃহবধূ জানান, ব্যাঙের বিয়ে হচ্ছে শুনেই তিনি দেখতে এসেছেন। মানুষের মতো ব্যাঙের বিয়ে দেয়া তিনি এটাই প্রথম দেখেছেন। বিয়েটা তার খুব ভালো লেগেছে। তবে সোহেল হাসান শুভ নামে এক যুবক জানান, ইসলামী বিধান অনুসরণ করে ব্যাঙের বিয়ে দেয়া ঠিক নয়। এটি কুসংস্কার। এমন আয়োজন এবার প্রথম দেখলেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার নজির বলেন, লোকজ বিশ্বাস থেকে প্রবাহমান বাংলার এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।