ঢাকা ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সমাবেশে ফখরুল

তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া জাতীয় নির্বাচন রুখে দিতে হবে

তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া জাতীয় নির্বাচন রুখে দিতে হবে

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন না দিলে, সে নির্বাচন রুখে দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেন, দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তাই তারা নির্বাচন করতে গেলে রুখে দেয়া হবে।

গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে ঢাকা মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ থেকে ‘গায়েবি মামলায় গ্রেফতার, নির্যাতনের প্রতিবাদসহ সরকারের পদত্যাগের ১০ দফা দাবি আদায়ে’ ঢাকাসহ সারাদেশে মহানগর-জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের চার দিনের নতুন যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী তিনটি দেশ সফর করেছেন। কিন্তু কোনো অর্জন নেই। সবার সঙ্গে মিটিংয়ে নির্বাচনের প্রসঙ্গটি এসেছে। কারণ বিদেশিরা দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন দেখতে চায়। দেশ-বিদেশে এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তারা নির্বাচন করতে গেলে রূখে দেওয়া হবে। আমরা সত্যিকার অর্থেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় দেখতে চাই। এই দাবিতেই আমরা দীর্ঘকাল ধরে আন্দোলন করছি। আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের খুন করা হয়েছে। ৩৯ লাখ মানুষকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি সবকিছু ধ্বংস করা হয়েছে।’৭১ সালের মতো গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘকাল ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছি। আপনারাও (আওয়ামী লীগ) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন। সে আন্দোলনে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলেন, মানুষ মেরেছিলেন। এখন আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুরোপুরি বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার জন্য মানুষ মারছেন।

সমাবেশে চার দিনের নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামী ১৯ মে ঢাকা মহানগর উত্তরসহ ২৮ জেলা ও মহানগর, ২০ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ ২১ জেলা ও মহানগর, ২৬ মে ঢাকা মহানগর উত্তরসহ ১৯ জেলা এবং ২৭ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ ১৫ জেলা ও মহানগরে জনসমাবেশ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের এই আন্দোলন বিএনপিকে ক্ষমতায় নেয়ার জন্য নয়। আমাদের এই আন্দোলন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই সরকারকে পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মো. আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি মো. আবদুস সালাম প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত