ঈদুল আজহা এবং এইচএসসি পরীক্ষার কারণে স্থানীয় সরকারের প্রায় ৬১টি পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিল পেছানো হয়েছে। তবে আগামী মাস জুনেই স্থানীয় সরকারের ভোটগুলো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী সপ্তাহে এসব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এসব কথা বলেন। মধ্য জুনের মধ্যে কমিশন বেশকিছু নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে তফসিল দেয়া হবে। তবে একেকটির একেক সময় নির্বাচন হবে। এর মধ্যে পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন রয়েছে। পৌরসভা আছে সাতটা। তবে ইউপি অনেকগুলো; যার কারণে তফসিল ঘোষণার আগে বলা যাবে না কতগুলো। তবে অর্ধশতাধিক হতে পারে। সংসদীয় আসনের শুনানি গতকাল শেষ হলো উল্লেখ করে জাহাংগীর আলম বলেন, কমিশন আবার বসে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। জুন মাসটা আমাদের হাতে আছে। জুনের মধ্যে এটা আমরা শেষ করব। পার্বত্য চট্টগ্রামে আসন বৃদ্ধির দাবির ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এটা কমিশন সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের আসন সংখ্যা ৩০০টি। এর বেশি আসন বানানোর সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। এটা যখন চূড়ান্ত হবে তখন বলা যাবে বাড়বে না কমবে। নির্বাচন কমিশনের আপ্যায়ন ভাতার বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা সংসদ নির্বাচনসহ কোথায় কী আছে তা দেখে প্রস্তাব দেবে।
এরপর সিদ্ধান্ত হবে। গাজীপুর সিটি ভোটের প্রস্ততি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারকে সব সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে থাকে। আমরা তাকে সহায়তা দেব। ইভিএম, জনবলের সহায়তা আমরা দেব। বাকি কাজটা রিটার্নিং অফিসার করবেন। সকল সিটি ভোট আয়োজনের জন্য প্রস্তুত ইসি।
