ঢাকা ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হতে পারে

জানালেন কৃষি সচিব
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হতে পারে

শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। তিনি বলেছেন, কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। বর্তমানে মজুত আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। উৎপাদন ও মজুদ বিবেচনায় দেশে এই মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই; অথচ বাজারে দাম কিছুটা বেশি। গতকাল কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কৃষি সচিব বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের বাজার সবসময় মনিটর করছে। দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকলে দ্রুতই পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। গতকাল সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ-সংক্রান্ত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম, মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অধিশাখার উপসচিব মুনসুর আলম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও আমদানির তথ্য তুলে ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এতে জানানো হয়, গত দুই বছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর মজুত আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন। সভায় আরো জানানো হয়, বর্তমানে ১ কেজি দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ ২৮ থেকে ৩০ টাকা। গত বছর ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি উন্মুক্ত থাকায় আমদানি বেশি হয়েছিল। দেশি পেঁয়াজের বাজারদর ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ছিল। কৃষক কম দাম পেয়েছিলেন। সেজন্য, পেঁয়াজ চাষে কৃষকের আগ্রহ ধরে রাখতে এ বছর পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত