ঢাকা ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তামাক কর বৃদ্ধি ও আইন সংশোধনের দাবিতে গণস্বাক্ষর

তামাক কর বৃদ্ধি ও আইন সংশোধনের দাবিতে গণস্বাক্ষর

তরুণ সমাজকে তামাকের থাবা থেকে রক্ষা করতে হলে তামাক আইন সংশোধন ও আগামী বাজেটে অধিক হারে তামাক কর বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন, আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েল বিয়িং আয়োজিত ইয়ুথ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। গত রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত তামাকবিরোধী ইয়ুথ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তারা।

এ সময় তামাক কর বৃদ্ধির পক্ষে গণস্বাক্ষরের আয়োজন করে সংগঠনটি। ৩০০’র অধিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এতে স্বাক্ষর করেন। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানে হয়।

তরুণরা তাদের বক্তব্যে জানান, বিশ্বে সর্বোচ্চ তামাক ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম প্রথম দিকে। দেশে ৩৫.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাকজনিত রোগে প্রাণ হারান; অনেকে অকালে পঙ্গু হয়ে যান।

সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল প্রভৃতি তামাকজাত পণ্য সহজলভ্য হওয়ায় এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে নিম্নস্তরের সিগারেটে কর বৃদ্ধির মাত্রা নগণ্য হওয়ায় তামাক পণ্য সহজলভ্য থেকে গেছে। ফলে, তরুণ জনগোষ্ঠীর মাঝে বিড়ি সিগারেটের মতো ক্ষতিকর পণ্যের ব্যবহার কমানো সম্ভব হচ্ছে না। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে কিশোর বয়সি ধূমপায়ীদের শতকরা ৯০ শতাংশ মাত্র ১৩ বছর বয়সে এ ক্ষতিকর পণ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।

স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ধূমপান পরিহার করার কথা বলছে। সেই অবস্থায় তামাকের সহজলভ্যতা জাতীয় পর্যায়ে এক নতুন বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

এসব ঝুঁকি মাথায় রেখে সচেতন শিক্ষার্থীরা তামাক পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যে সামনের বাজেটে কর সংশোধনীর দাবিতে গণস্বাক্ষর করেন।

এ সময় তারা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণে পাবলিক প্লেসে স্মোকিং জোন বাতিল, তরুণদের রক্ষায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধকরণ, তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী বন্ধ ও বিড়ি-সিগারেটের খুচরা বিক্রয় নিষিদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন ফেস্টুন নিয়ে ক্যাম্পেইনে অংশ নেন।

তারা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালীকরণে আইনের খসড়া দ্রুত পাস করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত