যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর স্পাইক নামের একটি কুকুরকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক কুকুরের খেতাব দিয়েছে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। স্পাইকের বয়স ২৪ বছর। কুকুরটি ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে ওহাইওর ক্যামডেন গ্রামে জন্ম নেয়। এটি চিহুয়াহুয়ার একটি মিশ্র জাতের কুকুর। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর এ খেতাব পায় কুকুরটি। যখন স্পাইকের বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক কুকুরের খেতাব দেয়া হয়, তখন এটির বয়স ছিল ২৩ বছর ৭ মাস। স্পাইকের বর্তমান মালিক হলেন রিতা কিম্বালি। তার কাছে ১৪ বছর ধরে আছে স্পাইক। ২০০৯ সালে কুকুরটিকে একটি গ্রোসারি স্টোরের গাড়ি পার্কের স্থানে খুঁজে পান রিতা কিম্বালি। রিতা কিম্বালি যখন কুকুরটিকে পান তখন সেটির অবস্থা বেশ করুণ ছিল। কুকুরটির গলায় শক্ত দড়ি থাকার কারণে সেখানে রক্তের দাগ পড়ে গিয়েছিল। রিতা ওই গ্রোসারি স্টোরে যাওয়ার পর সেখানকার একজন কর্মচারী জানান, কুকুরটি তিন দিন ধরে পড়ে আছে। ওই সময় ১০ বছর বয়সি স্পাইককে নিজের খামারে নিয়ে আসেন তিনি। রিতা জানিয়েছেন, কুকুরটির নাম তিনি দিয়েছেন বিখ্যাত কার্টুন ‘টম অ্যান্ড জেরির’ বিশালাকৃতি ও শক্তিশালী কুকুর স্পাইকের নাম অনুসারে। কারণ তার কুকুরটি ছোট হলেও টম অ্যান্ড জেরির স্পাইকের মতোই শক্তিশালী। স্পাইকের আগে বিশ্বের জীবিত সবচেয়ে বয়স্ক কুকুর ছিল লস অ্যাঞ্জেলসের জিনো ওলফ। ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর যখন জিনো ওলফকে বয়স্ক কুকুরের খেতাব দেওয়া হয়। তখন এটির বয়স ছিল ২২ বছর ৫২ দিন। এদিকে বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে স্পাইক এখন আর আগের মতো দৌড়াদৌড়ি বা ছোটাছুটি করতে পারে না। রিতা জানিয়েছেন, বর্তমানে কুকুরটি চোখে দেখে না, ঠিকমতো শুনতেও পায় না। বর্তমানে পরিচিত মানুষ ও খামারের প্রাণীদের দেখে সময় কাটায় সে। গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় বাঁচার রেকর্ডটির মালিক হলো অস্ট্রেলিয়ার ব্লারি নামের একটি কুকুর, যেটি ১৯৩৯ সালে ২৯ বছর বয়সে মারা গিয়েছিল।