অন্যরকম
সুইজারল্যান্ডের বিচিত্র আইন
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
সুইজারল্যান্ড, পৃথিবীর বুকে এক টুকরো স্বর্গ। ভ্রমণপিপাসু মানুষদের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয় গন্তব্য। কিন্তু এই স্বর্গে কিছু উদ্ভট আইন রয়েছে। এটি এমন একটি দেশ যেখানে একে অপরকে নিন্দা করা কিছুটা বিনোদনের মতো। চলুন জেনে নেয়া যাক এই দেশের কিছু বিচিত্র আইন।
রাত ১০টার পর টয়লেট ফ্লাশ করা যাবে না : সুইজারল্যান্ডের একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে রাত ১০টার পর টয়লেট ফ্লাশ করা বেআইনি। কারণ সরকার এটিকে শব্দদূষণ বলে মনে করে। এটি নাকি প্রতিবেশীদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। মানুষের ঘুমের সময় ব্যাহত করতে পারে। এই আইনটি রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত প্রযোজ্য। এমনকি, রাত ১০টার পর গাড়ির দরজা আটকানো এবং হাই হিল পড়াও বেআইনি।
রোববার কাপড় শুকাতে দেয়া নিষেধ : আমরা যারা কর্মজীবী তারা সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি বেছে নিই ঘরের কাজের জন্য। এর মধ্যে কাপড় ধোয়াও থাকে। কিন্তু সুইজারল্যান্ডে তা সম্ভব না। আপনি কোনোভাবেই রবিবার বাইরে কাপড়চোপড় শুকাতে পারবেন না। হোমওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতে আইনটি তৈরি করা হয়েছে। তাদের মতে, এটি দেখতে ভালো দেখায় না।
সন্তানের নাম নির্ধারণে সতর্কতা : সুইসরা সন্তানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে খুবই সংবেদনশীল। এদেশে শিশুর নাম অনুমোদন করতে হয়।
শিশুদের নামকরণের জন্য কঠোর নিয়ম রয়েছে। বিশেষত, একটি নাম স্পষ্টভাবে ব্যক্তির লিঙ্গ নির্দেশ করতে হবে।
রোববারে ঘাস কাটতে পারবেন না : সুইজারল্যান্ডে, রোববার মানেই অলস সময় কাটানো। সুইসরা তাদের বাড়ির লনে ঘাস লাগাতে পছন্দ করে। কিন্তু রোববার দিন সেই ঘাস কাটা যাবে না। এটি একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ এতে খুব বেশি শব্দ হয়। যা কিনা অন্যদের বিরক্তির কারণ।
একটি পোষা প্রাণী রাখা নিষেধ : বেশিরভাগ মানুষ একাকিত্ব দূর করতে প্রাণী পুষে থাকেন। কিন্তু পোষা প্রাণী যদি নিজেরাই একাকী হয়ে যায় কী হবে? সুইজারল্যান্ডে একটি পোষা প্রাণী রাখা আইনত দণ্ডনীয়। সুতরাং আপনাকে দুইটি প্রাণী পুষতে হবে। সেটি অবশ্যই তাদের নিজস্ব প্রজাতির হতে হবে। গিনিপিগ পুষতে গেলেও একাধিক রাখতে হবে। একই আইন প্রযোজ্য বগি, লামা, ঘোড়া এবং গোল্ডফিশের ক্ষেত্রে।