ঢাকা ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাগরতীরে উঠছে লাল নিশান

সাগরতীরে উঠছে লাল নিশান

বিদায় নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। নেমে গেছে সংকেত। এরপর কেটে গেছে তিন দিন। তবুও কাটেনি এর রেশ। এখনো উত্তাল সমুদ্র। তাই মোখা-পরবর্তী টানা তিন দিন ধরে সাগর তীরে উঠছে লাল নিশান। শান্ত সমুদ্রের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীসহ পর্যটন সেবীরা।

গতকাল বিকাল ৪টায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতে তেমন লোকজন নেই। তবে সতর্কাবস্থায় বিচ কর্মী, লাইফগার্ড কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, কলাতলী পয়েন্টে উঠছে লাল পাতাকা।

এ বিষয়ে সি সেইভ লাইফগার্ডের কর্মী জাফর আলম বলেন, মোখার রেশ এখনো কাটেনি। গত তিন দিন ধরেই সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। তাই এক মুহূর্তের জন্য সৈকত থেকে লাল পতাকা সরানো হয়নি।

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যটক তেমন নেই। মোখার পর সমুদ্র তীরবর্তী সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এখনো খুলেনি। সৈকতে এখন যেই ৪০০ থেকে ৫০০ লোকজন দেখছেন বলা চলে, তাদের সবাই কক্সবাজারের। হাতেগোনা কয়েকজন হয়ত পর্যটক রয়েছেন।

সূত্র জানায়, গেল শনি ও রোববার সৈকতে পর্যটক গমনে নিষেধজ্ঞা থাকলেও সোমবার থেকে সেই নিষেধজ্ঞা তুলে ফেলে জেলা প্রশাসন। কিন্তু তবুও উত্তাল সমুদ্র, চলমান এসএসসি পরীক্ষাসহ নানা কারণে এখন পর্যটক-শূন্য ছিল কক্সবাজার সৈকত। ধীরে ধীরে সমুদ্র শান্ত হলে ও পরীক্ষা শেষ হলে পর্যটকের আগমন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার পর পর্যটক তেমন নেই। এছাড়া এখন তো সবকিছু খোলা, আবার এসএসসি পরীক্ষা চলছে। সাপ্তাহিক বন্ধ হলে কিংবা পরীক্ষা শেষ হলে আশা করছি কিছু পর্যটকের আগমন ঘটবে।

সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা, লাবনী, কলাতলী ও সীগাল পয়েন্টে ঘুরে দেখা যায়, গুটিকয়েক ও পর্যটক ও শ’তিনেক স্থানীয় ঘুরে বেড়াচ্ছেন সৈকতে। হকার, ফটোগ্রাফার, বিচ বাইক, জেটস্কির তেমন উৎপাত নেই। তারা নিজেরা দলবদ্ধভাবে আড্ডা দিচ্ছে।

সৈকতের ভ্রাম্যমাণ ফটোগ্রাফার শফিউল বলেন, সকাল থেকে একজন গেস্টও পাইনি। বাসায়ও যেতে ইচ্ছে করছে না। তাই এখানে বসেই আড্ডা দিচ্ছি।

কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী থেকে থেকে সপরিবারে সমুদ্রসৈকতে আসা হাফেজ সোলাইমান বলেন, এমন ফাঁকা সমুদ্রসৈকত কখনো দেখিনি। বাইরের লোক না থাকলে তো স্থানীয় লোকজনে ভরা থাকে। আজ তাও নেই। তবে জটহীন এই সমুদ্রে ঢেউয়ের আওয়াজগুলো শুনতে কিন্তু ভালোই লাগছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান বলেন, সৈকতের সব ধরনের সেবা চালু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত