ইবিতে এখনো মেলেনি স্মার্ট পরিচয়পত্র

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ইবি প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক তিনটি হলে এখনো মিলেনি শিক্ষার্থীদের স্মার্ট পরিচয়পত্র। অথচ ভর্তির সময় স্মার্ট পরিচয় পত্র বাবদ নেয়া হয় ১০০ টাকা। বিনিময়ে দেয়া হয় হস্ত লিখিত কাগজের পরিচয় পত্র। বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিন্নভাবে স্মার্ট পরিচয়পত্রের দাবি জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ইতোপূর্বে প্রকল্প নেয়া হলেও অদৃশ্য কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি।

সূত্রে জানা যায়, নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পর পরিচয়পত্র বাবদ সংশ্লিষ্ট হলের হিসাব নম্বরে ১০০ টাকা ফি জমা দিতে হয়। বিনিময়ে আটটি হলের মধ্যে দুটি হলের শিক্ষার্থীরা নিজ হল থেকে নিম্নমানের কাগজে হাতে লেখা পরিচয়পত্র পান। তুলনামূলক মোটা কাগজে নিজেদের নাম শিক্ষার্থীরা নিজেরাই লিখে নেয়। পরবর্তীতে হল প্রভোস্ট স্বাক্ষর করে দেন।

এসব নিম্নমানের কাগজের মূল্যে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ টাকা। অথচ হল প্রশাসন পরিচয়পত্র বাবদ নিচ্ছে ১০০ টাকা। আটটি হলের পাঁচটি হলে দেয়া হয় স্মার্ট পরিচয়পত্র। বাকি তিনটি হলে দেয়া হয় নিম্নমানের পরিচয়পত্র। আবাসিক লালন শাহ হলে দেয়া হয় প্লাস্টিকের পরিচয়পত্র। অপর দুটি আবাসিক হলে দেয়া হয় কাগজের পরিচয়পত্র। তিনটি হলে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২০০শ’ অধিক। এসব শিক্ষার্থী নতুন ভর্তি হলে শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা করে একেক হলে পরিচয়পত্র বাবদ ৪০ হাজার টাকা জমা হয়। এই হিসেবে তিন হলের ব্যাংক হিসাবে মোট জমা হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে আবাসিক শিক্ষার্থী মেজবাহ রহমান জানান ‘ডিজিটাল যুগেও শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করছেন হাতে লিখা পরিচয়পত্র, যাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নেই অভিন্ন ডিজিটাল পরিচয়পত্র। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে উন্নতমানের পরিচয়পত্র।’ এ বিষয়ে একটি হলের প্রভোস্ট আব্দুল জলিল পাঠান বলেন, পরিচয়পত্র ডিজিটাল করা আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনায় রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘যুগের সাথে তাল মিলিয়ে স্মার্ট আইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা আছে। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনের সাথে কথা বলব।’