ব্যয় হবে ১৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা

বগুড়ার করতোয়া নদীর উপর তৈরি হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

জল্পনা-কল্পনা শেষে অবশেষে বগুড়ার বুক চিরে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ। যে ব্রিজ দিয়ে পূর্ব বগুড়ার তিন থানার বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। এই ব্রিজকে পূর্ব বগুড়ার প্রবেশ দ্বারও বলা হয়। আগামী ২২ মে আনুষ্ঠানিকভাবে পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করার দিন তারিখ নির্ধারণ করা হলেও গতকাল থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান এমন তথ্য জানিয়েছেন।

স্বাধীনতাণ্ডপূর্ব ১৯৭০ সালে করতোয়া নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে পূর্ব বগুড়া এবং পশ্চিম বগুড়াকে একত্রিত করে করতোয়া ব্রিজ। তার স্থায়ীত্বকাল অনেক আগেই শেষ হয়েছে তা ব্রিজের ভঙ্গুর অবকাঠামো দেখেই বোঝা যায়।

প্রায় ৫ বছর আগে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এই ব্রিজের প্রবেশ মুখের দুই পাশে ব্যারিকেড দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। যদিও হালকা যান নিয়মিতই চলতে দেখা গেছে। তখন থেকেই নতুন একটি ব্রিজ করার তাগিদ অনুভব করে বগুড়াবাসী। এ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় লেখালেখিও কম হয়নি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বগুড়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফতেহ আলী ব্রিজকে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। ২০২১ সালে ব্রিজটি নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়।

পরবর্তীতে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সেতুটির নকশা ও অর্থ বরাদ্দ অনুমোদন করে। ব্রিজটি নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে ২২ কোটি টাকার বেশি অনুমোদন করা হয়। ঠিকাদার নির্বাচন করে তাকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। ৬৯ মিটার দৈর্ঘ্য আর ১২ দশমিক ৩ মিটার চওড়া এই সেতুর দুই পাশে আড়াই মিটার (৮ ফুট) করে ফুটপাত থাকবে।

হাতির ঝিলের আঙ্গিকে দৃষ্টিনন্দন এবং আধুনিক স্থাপত্যের ছোঁয়া রয়েছে এই সেতুর নকসায়। এ সেতুটি নির্মাণ হলে শহরের সৌন্দর্য অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে। ব্রিজটি নির্মাণকালে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি বলে জানা গেছে।

ব্রিজ নির্মাণকালে পূর্ব বগুড়ার নাগরিকদের ব্রিজের দক্ষিণ পাশে এসপি ব্রিজ এবং উত্তর পাশে দত্তবাড়ি ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে হবে। পাশাপাশি রেল ব্রিজ হয়ে সাধারণ মানুষ হেঁটে যেতে পারবেন।

ব্রিজটি নির্মাণ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ২২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও এই ব্যয় এখন কমে ১৯ কোটি ৮৩ লাখে নেমেছে। আগামী ২২ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই কাজের উদ্বোধন করবেন বগুড়া সদর ৬ আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু। তিনি গত মঙ্গলবার বিকেলে ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কাজ শুরুর এক বছরের মধ্যে অর্থাৎ আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছেন।