শংকা জাগাচ্ছে বৃষ্টি
বাহারি ফলে ভরপুর রাঙামাটির বাজার
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মো. হান্নান, রাঙামাটি প্রতিনিধি
আম, কাঁঠাল, লিচু, কদবেলসহ নানা জাতের সুস্বাদু ফলে সয়লাব এখন রাঙামাটির হাটবাজার। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে দরদামে ভালো পরিস্থিতি বিরাজ করলেও শংকা জাগাচ্ছে হুটহাট নেমে আসা ঝড়-বৃষ্টি। এতে কেনাবেচায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয় সংশ্লিষ্টদের। গত কয়েক দিন রাঙামাটির বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রান্তিক চাষিরা নৌকাণ্ডবোটে করে রাঙামাটি জেলা সদরের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে আসে। নৌকাণ্ডবোটে ভরপুর থাকে আম, কাঁঠাল, লিচুসহ নানা জাতের ফল। খরা মৌসুমে প্রান্তিক চাষিরা দুর্গম পাহাড়ি পথ বেয়ে এসব ফল নিয়ে আসে রাঙামাটির বিভিন্ন বাজারে। ভোর হতে না হতেই ব্যাপারী-কৃষক ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আসা ফল ব্যবসায়ীদের দেখা মিলে বাজারগুলোতে। চলে দরদাম। সারাদেশে পাহাড়ি ফলের কদর বেশি থাকায় দামও থাকে বেশি। শুধু বনরুপা সমতাঘাটে নয় রাঙামাটির রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি বাজার, ভেদভেদী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারেও দেখা যায় জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলের সমাহার। বাহারি এসব ফলে চারাদিকে মৌ মৌ সুঘ্রান। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ট্রাক ও পিকআপ ভর্তি করে জেলার বাইরের নিয়ে যাওয়া হয় এসব ফল। স্থানীয় কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, উর্বর ভূমি ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে রাঙামাটিতে এবারও আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচুর প্রচুর ফলন হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে দাম ভালো মিললেও স্বস্তিতে নেই হঠাৎ হঠাৎ নেমে আসা বৃষ্টির কারণে। বৃষ্টির কারণে প্রভাব পড়ে বেচাকেনায়। পচনশীল ফল বিধায় ঝুঁকিও থাকে। এছাড়া কাপ্তাই হ্রদে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নৌ পরিবহনেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষকরা জানান, এসব ফল সংরক্ষনে হিমাগার স্থাপন করা হলে প্রতি বছর লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ফল ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন রাঙামাটির বিভিন্ন বাজারে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার ফল বেচাকেনা হয়। পাহাড়ের এসব ফল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকি দেশের বাইরেও রপ্তানি হয়। সারা দেশে পাহাড়ী ফলের কদর থাকায় ভালো দামও পাওয়া যায়। রাঙামাটি জেলা কৃষি তথ্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির প্রায় সব উপজেলাতে মিশ্র ফলের চাষাবাদ হয়। এবার জেলায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে নানা জাতের আম, ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের লিচু এবং প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে কাঁঠালের আবাদ হয়েছে।