সংঘাত নয়, শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন চান বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে এ দেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা নিরপেক্ষা নির্বাচন চাই। কোনো সংঘাত চাই না। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই।
গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শ্যামলীতে বিএনপির জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন মানব না। আজকে আমরাও পরিষ্কার করে বলছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া জনগণ মানবে না। ২০১৮ সালের সংলাপ করে বলেছিলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হবে না। অথচ তারপরেও বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের অজস্র মামলা-হামলার শিকার হতে হয়েছে।
সরকার আইন করে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমাচ্ছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, আপনারা নতুন আইন করতে যাচ্ছেন। সেটা হলো- নির্বাচন কমিশন কোনো আসনের নির্বাচন বাতিল করতে পারবে না। তাহলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা থাকল কোথায়? আপনারা জনগণকে বোকা মনে করছেন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার করোনাভাইরাস ও ঘূর্ণিঝড় মোখা থামাতে পারলেও জনতার স্রোত থামাতে পারবে না। রাজপথে ফয়সালা হবে। তারপর জনগণের সংসদ গঠন করা হবে।
ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল দেশের আট বিভাগ ও ২৮ সাংগঠনিক জেলায় এই জনসমাবেশ করে বিএনপি।