ভালো এবং গভীর ঘুম আমাদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করেও যদি ভালো ঘুম সম্ভব না হয় তবে হতাশ হবে না। সবকিছুরই সমাধান রয়েছে। কেবল সঠিক উপায় জানতে হয়। ঘুমের সমস্যা হলে তা কেন হচ্ছে সেই কারণ খুঁজে বের করতে হবে। এতে সমাধান সহজ হবে। ঘুম গভীর হলে তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব রাখে। চলুন জেনে নেয়া যাক গভীর ঘুমের জন্য আপনার করণীয় সম্পর্কে-
ঘুমের রুটিন মেনে চলা: নিয়মিত ঘুমের রুটিন থাকাটাই গভীর ঘুমের চাবিকাঠি। ঘুমাতে যাওয়ার এবং জেগে ওঠার নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন। ঘুম গভীর হলে তা আপনাকে যথেষ্ট বিশ্রাম দেবে এবং পরবর্তী দিনের জন্য উৎফুল্ল রাখবে। মন এবং শরীরকে শান্ত করতে সাহায্য করার জন্য গভীর শ্বাস, ধ্যান বা যোগের মতো বিষয়গুলোও অনুসরণ করতে পারেন।
ঘুমের সহায়ক পরিবেশ: শান্ত পরিবেশের পাশাপাশি আপনার বিছানা, বালিশ এবং কমফোটারের গুণমানও ঘুমকে প্রভাবিত করে। আপনার শরীর এবং প্রয়োজন অনুসারে কাস্টমাইজ করে নেয়া সঠিক বিছানা এবং ঘুমের আনুষঙ্গিকগুলো থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বিছানা বা বালিশ নির্বাচনের সময় এদিকটাতে খেয়াল রাখুন। পছন্দের পাশাপাশি সেগুলো আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখুন। উদ্দীপক থেকে দূরে থাকুন: ক্যাফেইন, নিকোটিন এবং অ্যালকোহলের মতো উদ্দীপক গ্রহণ করা, বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে এগুলো গ্রহণ করলে তা আপনার ঘুমকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এগুলো সার্কাডিয়ান রিদমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং শরীরের জন্য ঘুমিয়ে থাকাকে কঠিন করে তোলে। এছাড়া, বিছানায় যাওয়ার আগে ভারি খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এটি অস্বস্তি এবং হজমের সমস্যা করতে পারে, যার ফলে ঘুমের চক্র ব্যাহত হয়। অনেক কিছু রাতের ঘুমে ব্যাঘ্যাত ঘটাতে পারে। যেমন- মানসিক চাপ, পারিবারিক দায়িত্ব, অসুস্থতা ইত্যাদি। সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম সবার ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। সেজন্য ঘুমের মান উন্নত করতে কিছু জিনিস করতে পারেন। যেমন একটি নিয়মিত সময়সূচি মেনে চলার চেষ্টা করুন, ঘুমের আগে হালকা গরম পানিতে গোসল করুন এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে ধীরে কোনো সঙ্গীত শুনতে পারেন।