চলতি মৌসুমে নড়াইলের ৩ উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার লোহাগড়া, কালিয়া ও সদর উপজেলায় আবাদ হওয়া ৯৯ ভাগ জমির পাকা ধান এরই মধ্যে কৃষকরা কেটে ঘরে তুলেছেন বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিপু মজুমদার জানিয়েছেন। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এবং কর্তন করা পাকা বোরো ধান ঘরে তুলতে পারায় খুশি কৃষান-কৃষানিরা। এ জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে বলে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে জেলার ৩ উপজেলায় ৫০ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে, কালিয়া উপজেলায় ১৬ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে এবং লোহাগড়া উপজেলায় ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আবাদ হওয়া জমির উৎপাদিত ধান থেকে ২ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে বলে কৃষক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, খাদ্য সংকট যাতে না হয় সে লক্ষ্যে বোরো চাষে সফলতার জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রয়োজনীয় সার ও উন্নতমানের বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। সরকারের নির্দেশনায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক কৃষকদের স্বল্প সুদে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসার আগে বোরো ধান কেটে ঘরে তোলায় চলতি বছর এ ফসলটির বাম্পার ফলন হয়েছে বলে তিনি জানান।