ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্যরকম

১৭ বছর কোমলপানীয় পান করেই বেঁচে আছেন

১৭ বছর কোমলপানীয় পান করেই বেঁচে আছেন

সুস্থভাবে বাঁচতে সবারই তিনবেলা পেট পুরে খাওয়ার প্রয়োজন আছে। তবে যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা পেট পুরে না হলেও পুষ্টিকর খাবার খান সুস্থ থাকতে। যার মধ্যে ভাত, মাছ, মাংস, শাকসবজি, ফলমূল অন্যতম।

তবে কখনো কি শুনেছেন, কেউ কোনো খাবার ছাড়াই বেঁচে আছেন! অর্থাৎ শুধু কোমলপানীয় পান করে বেঁচে আছেন, তাও আবার বছরের পর বছর? এমনই এক উদ্ভট কাণ্ড করেছেন ইরানের বাসিন্দা গোলামরেজা আরদেশিরি। তার দাবি বিগত ১৭ বছর ধরে শক্ত খাবার বাদ দিয়ে ফিজি পানীয় ছাড়া আর কিছুই পান করেননি তিনি। এমনকি তিনি ক্ষুধার অনুভূতি অনুভব করেন না। আরদেশিরি একজন মধ্যবয়সি ব্যক্তি। তিনি ফাইবারগ্লাস মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি জানান, যখনই ক্লান্তবোধ করেন তখন তিনি শরীরের শক্তি বাড়াতে কার্বনেটেড পানীয়ের উপর নির্ভর করেন। ইরানি এই ব্যক্তি স্থানীয় গণমাধ্যমে দাবি করেছেন, ২০০৬ সালের জুনে অন্যান্য খাবার গ্রহণ করা ছেড়ে দেন তিনি। প্রায় দুই দশক ধরে তিনি শুধু কোমলপানীয় পান করেই দিব্যি বেঁচে আছেন! আর এভাবেই শ্রম দিচ্ছেন ফাইবারগ্লাস মেরামতে। তার কোনো নির্দিষ্ট অসুস্থতাও নেই। জানা গেছে, আরদেশিরি একটি ন্যূনতম ঘুমের সময়সূচি বজায় রাখে। প্রতি রাতে মাত্র চার ঘণ্টা বিশ্রাম নেন তিনি। তার কম ঘুম ও ক্ষতিপূরণের জন্য দৈনিক তিন লিটার কার্বনেটেড পানীয় গ্রহণ করেন, যা তিনি শক্তির উৎস হিসেবে উপলব্ধি করেন। যদিও এতোদিন আরদেশিরির তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না, তবে সম্প্রতি তিনি অ™ূ¢ত এক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন। আর তখনই মিডিয়ার সামনে আসেন তিনি। আরদেশিরির সমস্যা সম্পর্কে জানা যায়, গলা ও মুখে চুল আটকে আছে এমন অনুভব করতেন তিনি। বিভিন্ন চিকিৎসক দেখানোর পরেও তারা কোনো সমস্যা শনাক্ত করতে পারেননি।

এরপর মনোবিদের দ্বারস্থ হন আরদেশিরি। তারপরই জানা যায় তিনি ১৭ বছর ধরে শুধু কোমলপানীয় পান করেই বেঁচে আছেন। তিনি নাকি মনোরোগে ভুগছেন, এমনটিই জানান বিশেষজ্ঞ। তবে আরদেশিরি জানান, আমি নিজেও এখনো কোনো কারণ খুঁজে পাইনি এমনটি কেন হয়েছে। ইরানি এই ব্যক্তির পরিবার অনেকবার তার এই অভ্যাস ত্যাগ করার চেষ্টা করেছেন, তবে তার সামনে খাবার রাখলেও তিনি খান না। তার মতে, অন্যান্য খাবার দেখলে তীব্র অস্বস্তি ও বমি বমি ভাব হয় তার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত