ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে
বললেন আইনমন্ত্রী
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এটি করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে একটি টেকসই সমাধান দরকার। এই সমাধানের অংশ হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিছু সংশোধনী আনা হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী। গতকাল রোববার (২১ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল আইন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংলাপ এবং আলোচনা একটি গণতান্ত্রিক সমাজের চাবিকাঠি। তাই সরকার সমাজের বিভিন্ন অংশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে পরামর্শ করতে উৎসাহিত বোধ করে।
তিনি জানান, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করেছে, তাদের কিছু ইনপুট পেয়েছে এবং এটি পর্যালোচনা করছে।
আনিসুল হক বলেন, অনলাইনে নারীদের প্রায়ই হয়রানি করা হচ্ছে, যার সুরাহা হওয়া দরকার। ডিজিটাল স্পেসের যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে দেশ, সরকার বা কোনো ব্যক্তির মানহানি করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে বর্তমানে সমস্ত দেশ ডিজিটাল স্পেসে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং যারা ডিজিটাল আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ও আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তাদের রক্ষা করা দরকার। এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দরকার। তাই এ আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না। তবে আইনটি সংশোধনের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এটি অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, প্রফেসর ড. কাবেরী গায়েন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বক্তৃতা শেষে অংশগ্রহণকারীরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে আলোচকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।