বেশি সময় পার হয়ে গেছে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন শাহাজাহান। বেকারত্ব ঘোচাতে নানা পদক্ষেপ নিলেও আসেনি সফলতা। অবশেষে মালটা চাষে বেকারত্বকে জয় করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে পেয়েছেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ও সাহস। তার সাফল্য দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন মালটা চাষে। শাহাজাহানের বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে। সেখানে এক একর জমিতে তিনি গড়ে তুলেছেন মালটা বাগান।
সম্প্রতি শাহজাহানের মালটা বাগান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি গাছে পাতার ফাঁকে-ফাঁকে ঝুলছে নজরকাড়া রসালো মালটা। প্রতিদিন দূরের ও কাছের অনেকে আসেন শাহাজানের মালটা বাগানে। এদের মধ্যে কেউ দর্শনার্থী, কেউ মালটা ব্যবসায়ী আবার কেউ মালটা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে আসেন পরামর্শ নিতে। শাহাজাহান বলেন, বাড়ির পাশে মালটা চাষের জন্যে উপযোগী উঁচু এক একর জমিতে বারী-জাতের ২৫০টি মালটার চারা রোপণ করি ৩ বছর আগে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও সঠিক পরিচর্যায় স্বল্প সময়ের ব্যবধানে গাছ বড় হয়ে মালটা ধরতে শুরু করে। সবুজ রঙের এ মালটা তুলনামূলক অন্য জাতের মালটার চেয়ে রসালো ও স্বাদে বেশ মিষ্টি। ফলে বাজারে এ মালটার চাহিদাও বেশি।
লাকসামে বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে আমিই প্রথম মালটা চাষ শুরু করি। পর্যাপ্ত ফলন ও আশানুরূপ বাজার দর পাওয়ায় একদিকে যেমন বেকারত্ব থেকে মুক্তি মিলেছে অন্যদিকে সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। পাশাপাশি আরো এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মালটা চাষের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে লাকসাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফুজ্জামান বলেন, মালটা চারা রোপণের ২ থেকে ৩ বছর মধ্যেই ফল পাওয়া শুরু হয়। এ এলাকার মাটি ও আবহাওয়া মালটা চাষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। শুরু থেকেই মালটা চাষি শাহজাহানকে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে কৃষিবিভাগ। তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে উপজেলায় আরও অনেকে বাণিজ্যিকভাবে মালটা চাষ শুরু করেছেন। তাদেরও প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।