ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি।
গতকাল সোমবার দুপুরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইলের নাইটিংগেল মোড় ঘুরে ফের নয়াপল্টনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এ সময় মিছিলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সহসভাপতি ইউনুস মৃধা, যুগ্ম সম্পাদক আকবর হোসেন নান্টু, যুবদলের ওমর ফারুক মুন্না, লিয়ন হক, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাউসার, বর্তমান সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন নাসিরসহ কয়েকশ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দলের নেতা মজনুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশসহ তিন দিনের কর্মসূচি দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। গতকাল সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে নেতারা জরুরি বৈঠক করে এই কর্মসূচি ঠিক করেন। কর্মসূচি হলো ২২ মে ও আগামী ২৪ মে মহানগর দক্ষিণের সব থানা ও ওয়ার্ডে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৭ মে শনিবার সমাবেশ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে রফিকুল আলম মজনুর শাহজাহানপুরের বাসার নিচ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, রফিকুল আলম রাত পৌনে ১২টার দিকে বাসায় ফেরেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন আগে থেকেই তার বাসার নিচে অবস্থান করছিলেন। তিনি বাইরে থেকে ফেরামাত্র বাসার নিচ থেকে পুলিশ তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ সোমবার বলেন, বিএনপির ওই নেতাকে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে মিথ্যা ও গায়েবি মামলার হিড়িক পড়েছে। বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি বাতিল করতে সরকার গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার এবং নির্বিচার গুলি চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা, অন্ধ ও পঙ্গু করে যাচ্ছে। গত রোববার রাতে রফিকুল আলমকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু পুলিশ তাকে আটকের কথা এখন পর্যন্ত স্বীকার কিংবা তার কোনো হদিস দিচ্ছে না।
রিজভী অভিযোগ করেন, ঢাকা মহানগরে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশ হানা দিচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে খুলনা, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, ফেনীসহ বেশ কিছু জেলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশসহ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সহিংস আক্রমণ চালিয়েছে। এছাড়া যশোর, সিলেট, ঝিনাইদহ ও রাজশাহীতে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রেপ্তার, তল্লাশি, আসবাবপত্র ভাঙচুর করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।
