তীব্র গরমের প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরেও। এসময় খাবার ঠিকভাবে হজম করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। কারণ গরম বেশি পড়লে হজম প্রক্রিয়া ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এখান থেকেই দেখা দেয় সমস্যা। সেইসঙ্গে থাকতে পারে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের প্রভাব। সবকিছু মিলিয়ে ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিচ্ছে অনেকের ক্ষেত্রে।
গরমের এই সময়ে পেটের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে খাবার খেতে হবে বুঝেশুনে। কোনো ধরনের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না। খাবারের ক্ষেত্রে আনতে হবে কিছু পরিবর্তন। এই গরমে পেটে সমস্যা হলে তা থেকে মুক্তি পেতে বেছে নিতে হবে কিছু খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো খাবেন-
ওরস্যালাইন : গরমের সময়ে ঘামের কারণে এমনিতেই শরীর থেকে অনেকটা পানি বের হয়ে যায়। সেই সঙ্গে পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হলে ক্ষতি আরও বেশি হয়। তখন শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। এমন অবস্থায় শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্যও নষ্ট হতে পারে। তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ওরস্যালাইন খান। একবারে সবটা না খেয়ে একটু একটু করে খান। প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশনা অনুযায়ী স্যালাইন তৈরি করে খাবেন। এতে শরীরে পানির ঘাটতি মিটবে দ্রুতই।
ডাবের পানি : গরমে তৃষ্ণা মেটাতে দুর্দান্ত কাজ করে ডাবের পানি। এতে থাকে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, কার্ব ইত্যাদি। পেট খারাপের সমস্যা দেখা দিলে দারুণ কার্যকরী হতে পারে ডাবের পানি। এই পানি শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে কাজ করে। শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্যও রক্ষা করে এটি। তাই পেটে সমস্যা দেখা দিলে দিন একটি বা দুটি ডাবের পানি পান করুন। এতে শরীর দ্রুত সুস্থ হবে।
দই খেলে উপকার পাবেন : অন্ত্রের জন্য কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমে এলেই ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে দই। কারণ দইয়ে থাকে ন্যাচারল প্রোবায়োটিক। যে কারণে দই খেলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পাতলা পায়খানা এবং বমির সমস্যাও কমিয়ে আনে এই খাবার। তাই এসময় পেটের সমস্যা হলে দই কিংবা ঘোল খেতে পারেন।
সহজে হজম হয় এমন খাবার খান : পেট খারাপ হলে অতিরিক্ত তেল-মসলা দেওয়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এর বদলে খেতে হবে এমন খাবার যেগুলো সহজে হজম হয়। এতে রোগীর পক্ষে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব হবে। ভাত, মুড়ি, আলু সিদ্ধ- ডাল এসব খেতে পারেন। মাছ বা ডিম খেতে পারেন প্রোটিনের ঘাটতি মেটানোর জন্য। এতে সমস্যা দ্রুতই কমে আসবে।