চট্টগ্রামে মাত্র ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে জলমগ্ন নিচু এলাকা

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থেকে শুরু হয় হালকা বৃষ্টিপাত। দুপুরে বেড়ে যায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। এতে নগরীর বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প কাজ শেষপর্যায়ে থাকার সময় ফের জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে।

গতকাল সকাল থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। দুপুরের পর বৃষ্টিপাত বেড়ে যায়। এতে নিচু এলাকায় জমে যায় পানি। কোথাও বৃষ্টি শুরুর পর আধা ঘণ্টার মধ্যে নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ দেখা দেয়ায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে নগরবাসীর মধ্যে। সরেজমিন দেখা যায়, নগরের চকবাজার, ষোলশহর, ২ নম্বর গেট, শুলকবহর, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, ডিসি সড়ক, পাঠানটুলী এলাকায় পানি জমে যায়। গতকাল দুপুর ২টা পর্যন্ত আবহাওয়া অফিস চট্টগ্রামে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। চকবাজারের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ জানান, সামান্য বৃষ্টিতে সকালেই নিচু এলাকায় পানি জমে যায়। এতে বেড়েছে দুর্ভোগ। বর্ষায় টানা বর্ষণ হলে দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্পের কোনো সুফল দেখছি না। জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকার খালের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এতে নালার পানি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টি ছাড়াও অনেক অলিগলিতে পানি জমে আছে। বাড়তি ভাড়া দিয়ে অনেকে রিকশায় চলাচল করছে। বাঁধের কারণে বৃষ্টির পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় তা রাস্তা ও অলিগলিতে জমে যায়। নগরের চকবাজার, বাদুড়তলা, কাপাসগোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় গোড়ালি থেকে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এভাবে জলাবদ্ধতা হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। বিশেষ করে সকালে অফিসগামী লোকদের ভোগান্তি ছিল বেশি।

নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে সিডিএ দুটি, পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি ও সিটি করপোরেশন একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে বছর ধরে চলমান এসব প্রকল্পের কাজ চললেও সুফল মিলছে না।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস গতকাল দুপুর ২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চট্টগ্রামসহ দেশের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ পরিস্থিতি আরো দুই দিন থাকতে পারে।