ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দারিদ্র্য কমাতে উন্নয়ন সংস্থাকে জোর দেয়া উচিত

বললেন কৃষিমন্ত্রী
দারিদ্র্য কমাতে উন্নয়ন সংস্থাকে জোর দেয়া উচিত

দেশের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোতে অতি দারিদ্র্য দূরীকরণে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর (এনজিও) অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে জোর দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে প্রশংসনীয় অগ্রগতি সত্ত্বেও দেশের উত্তর, দক্ষিণ, হাওর ও পার্বত্য অঞ্চলের কিছু এলাকায় দারিদ্র্যের হার এখনো অনেক বেশি। এসব অঞ্চলের দারিদ্র্যের হার হ্রাস ও বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণে পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্প অবদান রাখবে বলে আশা করছি। গতকাল বুধবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবনে ‘পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল-ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন’ (পিপিইপিপি-ইইউ) প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) দেশের অতি দারিদ্র্যপ্রবণ ১২ জেলার ৩৪ উপজেলার ১৪৫টি ইউনিয়নে ২ লাখ ১৫ হাজার অতি দরিদ্র খানাভুক্ত ৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অর্থায়িত ২২ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ইউরো অনুদানভিত্তিক প্রকল্পটি সহিষ্ণু জীবিকায়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন, পুষ্টি ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রতিবন্ধিতা একীভূতকরণ, জলবায়ু সহনশীলতা সৃষ্টি ও কমিউনিটি মোবিলাইজেশনে কাজ করছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূরীকরণে ইইউ অঙ্গীকারাবদ্ধ। পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্প তারই একটি নিদর্শন। মধ্যমণ্ডআয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তরণ প্রক্রিয়া ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান বলেন, পিকেএসএফ বর্তমানে দেশের ১ কোটি ৮ লাখ পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে উপযুক্ত অর্থায়নসহ বহুমাত্রিক কারিগরি ও সামাজিক সেবা দেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত