কফের সমস্যা সমাধানে করণীয়
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
কাশি কিংবা কফের সমস্যা যে কেবল শীতকালে দেখা দেয়, এমন নয়। বরং এটি হতে পারে বছরের যে কোনো সময়ই। বিশেষ করে গরমণ্ডঠান্ডার জেরে দেখা দিতে পারে এ ধরনের সমস্যা। সংক্রমণের কারণে আমাদের শ্বাসযন্ত্র প্রভাবিত হয়। ফলে হাঁচি, কাশি, গলাব্যথা, কফের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ওষুধ খেলে অনেক সময় তা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। এর বদলে ঘরোয়া উপায় বেছে নেয়াই উত্তম। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাশি ও কফের সমস্যা সমাধানের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার নিরাপদ, প্রাকৃতিক এবং এর কোনো বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এগুলো সহজেই পাওয়া যায়, সস্তা এবং বাড়িতে থাকা উপাদান দিয়ে তৈরি করা যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ঘরোয়া প্রতিকার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-কাশির কারণে ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরকে সাহায্য করে। জেনে নিন এমনই ৫টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়-
আদা চা : আদা প্রাকৃতিক প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। এটি যা সর্দি-কাশি এবং কফের সমস্যা উপশম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর কিছু উপকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শ্লেষ্মা ভেঙে গলা প্রশমিত করতে সাহায্য করে। আদা চা তৈরির জন্য এক টুকরো আদা খোসা ছাড়িয়ে পানিতে ৫-১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। স্বাদের জন্য তাতে মধু এবং লেবু যোগ করুন। আদা চা কফ দূর করতে, গলাব্যথা প্রশমিত করতে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করে।
মধু : মধু কাশি ও কফ দূর করতে প্রাকৃতিকভাবে কাজ করে। এটি গলার খুশখুশেভাব প্রশমিত করতেও সাহায্য করে। মধুর রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য যা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তবে এক বছরের কম বয়সি শিশুকে মধু খেতে দেয়া যাবে না। কফের সমস্যা দূর করার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে মধু ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে চা কিংবা গরম পানিতে এক চামচ মধু যোগ করে পান করুন। এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
রসুন : রসুন একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক যা সর্দি-কাশির সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যা শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। রসুনের কয়েকটি কোয়া মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। কফের সমস্যায় উপকার পাবেন। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবারে রসুন যোগ করুন।
ভাপ নেয়া : কফের সমস্যা কমাতে একটি কার্যকরী উপায় হলো ভাপ নেয়া। এটি শ্লেষ্মা আলগা করতে সাহায্য করে তা বের করে দেয়া সহজ করে। ভাপ নেয়ার জন্য একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। এবার পাত্রের উপর ঝুঁকে তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। এভাবে ভাপ নিন। বাড়তি সুবিধার জন্য পানিতে ইউক্যালিপটাস বা পেপারমিন্টের মতো এসেন্সিয়াল অয়েলও যোগ করতে পারেন।
হলুদ দুধ : হলুদ একটি প্রাকৃতিক প্রদাহবিরোধী উপকরণ যা শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক যা সর্দি এবং কাশি সৃষ্টিকারী সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এক কাপ গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে হলুদ দুধ তৈরি করুন। স্বাদের জন্য মধু যোগ করুন। হলুদ দুধ গলা ব্যথা প্রশমিত করতে, কফ দূর করতে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করে।