কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপির) মধ্যে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে দু’দিনের সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয়েছে। দুইদিনের সম্মেলনে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ৮টি বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টায় কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালী পাড়ার সেন্ট্রাল রিসোর্ট হলরুমে শুরু হওয়া এ সম্মেলন গতকাল শেষ হয়।
সম্মেলনে বাংলাদেশে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমণ্ডউস-সাকিব। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। অন্যদিকে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হেটেট লুইন এর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। গতকাল বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমণ্ডউস-সাকিব জানান, সম্মেলনে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস দমন ও দুষ্কৃতকারী প্রতিহতকরণ, মাদক পাচার, সীমান্ত নিরাপত্তা, তথ্য বিনিময়, সমন্বিত টহল, পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে সীমান্তে অনুপ্রবেশগত কারণে মিয়ানমারে আটক বাংলাদেশিদের সীমান্ত চুক্তি ১৯৮০ অনুযায়ী সহজীকরণের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এতে উভয় দেশে আন্তরিকভাবে তা সমাধানে ঐকমত্য পোষণ করেন। এর আগে বুধবার সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য মিয়ানমার প্রতিনিধিদল নৌপথে শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট হয়ে টেকনাফে আসে। মিয়ানমার প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে পৌঁছালে বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা জানানো হয়। এসময় বিজিবির একটি সুসজ্জিত দল মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের প্রধানকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।