পিস্তলের গুলিতে পুলিশের আত্মহত্যা
পুলিশের সন্দেহ প্রেমঘটিত
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
রাজধানীর বনানী এলাকায় নিজের পিস্তল দিয়ে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন পুলিশের এক কনস্টেবল। আশরাফ উজ জামান রনি (২২) নামের ঐ কনস্টেবল পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত ছিলেন। তিনি প্রেমঘটিত কারণে বিষণ্নতায় আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সকালে ডিউটি করতে গিয়ে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে তিনি নিজেই আত্মহত্যা করেন। বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান- গতকাল সকাল ৬টা ৪৯ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, বনানী ১১ নম্বরে চেকপোস্টে তার ডিউটি ছিল। সকালে স্বাভাবিকভাবে তিনি ডিউটিতে আসেন। সঙ্গে আরও পুলিশ সদস্য ছিল। চেকপোস্টের পাশেই বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে নিজের পিস্তল দিয়ে নিজে গুলি করে আত্মহত্যা করেন কনস্টেবল রনি। ওসি আরও জানান, সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।
গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন- কনস্টেবলদের পিস্তল সরবরাহ করে না পুলিশ। তবে ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানীর চেকপোস্টে নিয়োজিত কনস্টেবলরা ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত যেসব কনস্টেবল চেকপোস্টে ডিউটি করে তারা পিস্তল ব্যবহার করতে পারে। আর সেই পিস্তলেই আত্মহত্যা করেছেন কনস্টেবল আশরাফ উজ জামান রনি (২২)। তিনি প্রেমঘটিত কারণে বিষণ্নতায় আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা পুলিশের।
তিনি বলেন, ডিএমপির সদর দপ্তর থেকে সিদ্ধান্ত হয় চেকপোস্টে ডিউটির সুবিধা ও নিরাপত্তার স্বার্থে কনস্টেবলরা পিস্তল ব্যবহার করতে পারবেন। এটি অনেক আগে থেকেই সব চেকপোস্টে ব্যবহার হচ্ছে।
আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, কনস্টেবল রনির সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জেরে তারা মোবাইলে বেশিরভাগ সময় কথা বলত। গত বুধবার রাতের বেশিরভাগ সময় তারা মোবাইলে কথা বলেন। সকালে ডিউটিতে আসার আগেও কথা হয় তাদের দুজনের মধ্যে।
ডিসি শহিদুল্লাহ আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহতের মোবাইল ফোন চেক করে দেখা গেছে, প্রেমঘটিত কোনো বিষয় নিয়ে কনস্টেবল রনির প্রেমিকার সঙ্গে কোনো ঝামেলা চলছিল। এ কারণেই তিনি নিজের পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে এ বিষয়ে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।