ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সংস্কৃতি বিকাশে নজরুলকে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে

বললেন রবি ভিসি
সংস্কৃতি বিকাশে নজরুলকে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলাম দুইজনই মানবপ্রেমকে তাদের সাহিত্য প্রয়াসের কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন। দুইজনের প্রকাশটি যেমন ভাবেই হোক না কেন, তাদের চিন্তার কেন্দ্রবিন্দুটি হচ্ছে মানবপ্রেম। মনুষ্যত্বকে তারা সবার উপরে স্থান দিয়েছেন। অসাম্প্রদায়িকতা, বিশ্বমানবতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণকে এই দুই কবির লেখায় বারবার উচ্চারিত হতে দেখি। বাংলা সংস্কৃতির বিকাশে রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের অবদান অসীম। গত বুধবার সন্ধ্যায় নদী আয়োজিত নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রবি’র ভিসি এসব কথা বলেন। সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মুনসুর আলী অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সংগঠনের উপদেষ্টা নবী নেওয়াজ খান বিনুর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তরুণ সম্প্রদায় গ্রুপ থিয়েটারের পরিচালক আসাদ উদ্দিন পবলু। রবি ভিসি আরো বলেন, এই দুইজন কবির মধ্যে আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক ছিল খুব নিবিড়, একে অন্যের প্রতি নির্ভরতার এবং পারস্পরিক সহযোগিতার। তারা দু’জনেই ব্রিটিশ শাসনামলে জন্মগ্রহণ করেছেন। ব্রিটিশ শাসিত পরাধীন ভারতবর্ষের নাগরিক ছিলেন তারা। এই পরাধীন ভারতে মানুষের যে পরাধীনতার গ্লানি এবং শৃঙ্খলমুক্তির যে জয়গান তা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যে এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যে দেখেছি। এই দুই কবি আমাদের হৃদয়ে ও চেতনায় সমাসীন আছেন এবং বাংলাদেশ সরকার তাদের প্রতি সুবিচার করতে ভুল করেনি। তিনি আরো বলেন, তাদের নামে, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের দেশ জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’কে এবং রণসংগীত হিসেবে গ্রহণ করেছে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘চল চল চল’ গানটিকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত