চলমান ঊর্ধ্বগতির বাজারে কিছুতেই হিসাব মিলছে না মানুষের। মাছ-মাংস-মশলার পাশাপাশি স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই বললেই চলে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পটল ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭০ টাকা, বেগুন ৮০, ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, টমেটোর কেজি ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, শসা ৬০-৬৫ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া (ফালি) ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, গাজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৮০-১০০ টাকা, জালি কুমড়ার পিস ৬০ টাকা এবং কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাক-সবজির এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তারা জানান, সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। এটা সম্পূর্ণ কারসাজি। বাজার তো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজারে ৭০/৮০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি নেই। বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, আর করলা ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচাবাজারে বিক্রেতারা জানান, অতিরিক্ত গরমে সবজির সরবরাহ কম। অনেক ধরনের সবজির মৌসুম এখন শেষের দিকে। ফলে সেসব সবজির দাম বাড়তি। বৃষ্টি নেই বললেই চলে, অতিরিক্ত গরম, যে কারণে সবজি কম ফলছে। চাহিদার তুলনায় পণ্য ঢাকায় কম আসায় কারওয়ান বাজারসহ পাইকারি বাজারগুলোতেই সবজির দাম বাড়তি। যে কারণে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। পেঁপের দাম বাড়ার পেছনে কারণ কি জানতে চাইলে তারা জানান, পেঁপের বাজার হঠাৎ করেই বেড়েছে, কারণ পেঁপের মৌসুম শেষের দিকে, গাছে এখন পেঁপে নেই। তাই প্রতি কেজি খুচরা বাজারে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম থাকায় করলার দাম বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে। তারা আরো জানান, সবজির দাম কয়েকদিন ধরে বাড়তি। দাম বাড়তির কারণে আগের চেয়ে সবজি বিক্রিও কমেছে। আগে যেখানে একজন ক্রেতা একটা সবজি এক কেজি নিত, এখন সেখানে আধা কেজি নিচ্ছে।
