পরিসংখ্যান বলছে, গোটা বিশ্বে প্রায় ২৭ কোটি মানুষ উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভুগছেন। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অবসাদ, মানসিক চাপ, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ চিকিৎসকদের। তবে দৈনন্দিন জীবনের নানা রকম দায়িত্ব, অফিসের চাপ, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের নানা বিষয় সামলে মনকে ফুরফুরে রাখা সত্যিই মুশকিল। পরিসংখ্যান বলছে, গোটা বিশ্বে প্রায় ২৭ কোটি মানুষ উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এই ধরনের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে অবশ্যই মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া উচিত। তবে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগে থেকেই যদি প্রতিদিন একটু করে মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা যায়, সেক্ষেত্রে উদ্বেগজনিত সমস্যা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলে উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেরকম কিছু খাবার সম্পর্কে-
ডার্ক চকলেট : ডার্ক চকলেটে উপস্থিত ‘ফ্যাভোনল’ জাতীয় উপাদান মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ডার্ক চকোলেটে থাকে ‘এপিক্যাটেকিন’ ও ‘ক্যাটেকিন’ নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। গবেষণা বলছে, এই উপাদানগুলো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় ও মস্তিষ্কের কোষে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। স্নায়ুকোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এর ভূমিকা রয়েছে। তবে ডায়াবেটিস ও অনুরূপ সমস্যা থাকলে ডার্ক চকলেট খাওয়ার আগে নিতে হবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
ব্লুবেরি : অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি-তে ভরপুর ব্লুবেরি স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। উদ্বেগমুক্ত হয়ে দিন শুরু করার জন্য সকালে নাশতার সঙ্গে রাখতেই পারেন ব্লুবেরি। তবে এই ফলের দাম যেহেতু বেশি, তাই সবার পক্ষে তা কেনা সম্ভব নাও হতে পারে। এর বদলে জাম খেলেও একই উপকার পাবেন।
কমলালেবু: কমলালেবুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি। এছাড়াও এই ফলে রয়েছে এমন কিছু যৌগ, যা উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই সকালের নাশতা খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পর একটি করে কমলালেবু খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
কলা: উদ্বেগ বেড়ে গেলে তা হৃদ্স্পন্দনকেও প্রভাবিত করে। হৃদ্স্পন্দনকে স্বাভাবিক ছন্দে রাখতে সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম। আর এই যৌগটির প্রাকৃতিক উৎস হলো কলা। তবে শুধু উদ্বেগ নয়, হঠাৎ বিগড়ে যাওয়া মেজাজ ভালো করতেও কলার জুড়ি মেলা ভার।
মিষ্টি আলু: নিয়মিত মিষ্টি আলু দিয়ে তৈরি পদ খেলে ভিটামিন বি৬-এর ঘাটতি পূরণ হয়। মন ভালো রাখতে পারে এমন দুটি হরমোন, সেরোটোনিন এবং ডোপামাইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই ভিটামিনটি।