সুসংবাদ প্রতিদিন
কুমিল্লায় মিষ্টি আলু চাষে লাভবান হচ্ছে না কৃষকরা
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
মিষ্টি আলু চাষ লাভজনক হওয়ায় আলু চাষে ঝুঁকছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কৃষকরা। এবছর ৪০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে কৃষকরা বেশ উৎসাহ নিয়ে মিষ্টি আলু চাষ করছে। উপজেলার এবদারপুর গ্রামের চাষি মো. ইকবাল হোসন বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী ৬ বিঘা জমিতে স্থানীয় জাতের মিষ্টি আলু আবাদ করি। প্রতি বিঘা জমি আবাদে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। জমিতে আলুর ফলন হয়েছে ৬৬ মণ। প্রায় ৪ মাসেই ফলন ঘরে তুলতে পেরেছি। বিঘা প্রতি আলু বিক্রি করেছি ৬০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি মুনাফা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এ বছর মিষ্টি আলু চাষ করে আড়াই লাখ টাকা লাভ করেছি। চাষি ইকবাল হোসেনের মতোই ওই এলাকার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মিয়া, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মোখলেসুর রহমান, ঝর্ণা বেগম, মনু মিয়া, মোহাম্মদ মোস্তফা, হাজী খালেক সবার মুখেই লেগে আছে মিষ্টি আলুর মুনাফার হাসি। কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর কুমিল্লা জেলায় ৯৮১ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ১৯ দশমিক ২ টন। সব মিলিয়ে চলতি বছর ১৮ হাজার ৬৫৯ টন মিষ্টি আলু উৎপাদন হয়েছে। কুমিল্লা জেলার সব উপজেলাতেই কমবেশি মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, তিতাস, হোমনা উল্লেখযোগ্য। জেলার বুড়িচং উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়, চাষিরা জমি থেকে মিষ্টি আলু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পরিবারের সদস্যরা আলু সংগ্রহের কাজে সহযোগিতা করছেন। সময় যেন নষ্ট না সেজন্য অনেকেই জমির আইলে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন। উপজেলার শিকারপুর এলাকার কৃষক আনু মিয়া বলেন, প্রায় ১২ বছর ধরে তিনি নিজের জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষ করে থাকেন। অন্যান্য বছরগুলোর মতো তিনি এ বছরও মিষ্টি আলুর চাষ করেছেন। এ বছর ১০ শতক জমিতে আলু চাষ করি। আলুর ফলনও হয়েছে খুবই ভালো। আশা করছি এবার আরও বেশি টাকার আলু বিক্রি করতে পারব।
বুড়িচং উপজেলার রামপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতানা ইয়াসমিন জানান, এবদারপুর গ্রামে মিষ্টি আলুর আবাদ হয়েছে ১২ হেক্টর জমি। প্রতিটি আলুর ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত হয়েছে। ৩৭ জন কৃষক মিষ্টি আলু চাষ করেছেন।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, মিষ্টি আলু চাষে কুমিল্লার মাটি খুবই উপযুক্ত। বর্তমানে মিষ্টি আলুর বহুমাত্রিক ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে কুমিল্লার চাষিরা আলু চাষে বেশ উৎসাহ দেখাচ্ছেন। বিষয়টা ইতিবাচক। আমরা চেষ্টা করছি চাষিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার। কারণ মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ সর্ম্পকে এখন সবার জানা। এ বছর কুমিল্লায় ৯৮১ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। মাঠে আবার মিষ্টি আলু ফিরে এসেছে এটা অবশ্যই সুখবর।