দেশের জনগণের আয়ের ওপর ট্যাক্স নির্ধারণ করে থাকে সরকার। এটিই অধিকাংশ দেশে প্রচলিত; কিন্তু বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেখানে প্রেমিকা না থাকলে অর্থাৎ ব্যাচেলার থাকলেই সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়। বিশেষ করে দোকানে কিছু কিনতে গেলে কিংবা রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে ট্যাক্স দিতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, জনসংখ্যা বাড়াতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশগুলো। আমেরিকার মিসৌরি শহরে ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সি ব্যাচেলর পুরুষদের কাছ থেকে ট্যাক্স হিসেবে নেয়া হয় ১ ডলার। যদিও এই ট্যাক্সের শুরু হয় কয়েকশ’ বছর আগেই। ১৮২১ সাল থেকে আমেরিকার মিসৌরিতে এই ট্যাক্স দেয়া শুরু হয়। অনেক পুরুষ আছেন বিয়ে করতে চান না কিংবা প্রেমেও বিশ্বাস করেন না। ফলে দেশে জনসংখ্যাও কমতে থাকে। ফলে দেশের সরকার পুরুষদের ব্যাচেলর থাকার অনুমতি দেয় তবে তার জন্য বার্ষিক ট্যাক্স দিতে হবে তাকে। যদিও অবিবাহিত পুরুষদের ওপর এ ধরনের ট্যাক্সের শুরু মিসৌরিতে নয়। ১৬৯৫ সালে ইংল্যান্ডে জুলিয়াস সিজার এ ট্যাক্সের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ১৭০২ সালে রাশিয়ায় এ ট্যাক্স চালু করেন পিটার দ্য গ্রেট এবং ১৯২৪ সালের শেষের দিকে ইতালিতেও ব্যাচেলর ট্যাক্স চালু করেন মুসোলিনি। এছাড়া আরো অদ্ভুত ট্যাক্স চালু আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। টয়লেট ফ্ল্যাশের জন্য ট্যাক্স নেয়া হয় মেরিল্যান্ডে। যেখানে পানির খরচের দিকে নজর রাখার জন্য প্রতিটি বাড়িতে প্রতি মাসে ৫ ডলার টয়লেট ফ্ল্যাশ ট্যাক্স হিসেবে নেয়া হয়।
ট্যাটু করার জন্য ট্যাক্স দিতে হয় আরকানসাসে। সেখানে ট্যাটু করালে ৬ শতাংশ কর দিতে হয়। ২০০২ সাল থেকে এ নিয়ম প্রযোজ্য রয়েছে আরকানসাসে। বরফ কেনার জন্য ট্যাক্স দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার নাগরিকরা।
পাকিস্তানের পাঞ্জাবে পোষ্য থাকলে কর দিতে হয়। কুকুর, বিড়াল, শূকর, ভেড়া থাকলে বছরে ২৫০ টাকা, আর হাতি, গরু, উট, ঘোড়া, ষাঁড় থাকলে বছরে ৫০০ টাকা ট্যাক্স দিতে হয়।