সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) ‘যুদ্ধাপরাধ’ নিয়ে মন্তব্য করায় বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. রফিকুল হায়দারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না; ভালো মানুষ ছিল’ বলে মন্তব্য করায় এই মামলা করেন চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন। গতকাল চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবিরের আদালতে এই মামলা করা হয়। আদালত সূত্র জানায়, মামলায় বাদী উল্লেখ করেন গত ২০ মে ফেসবুকে ১৯ এপ্রিল ও ২৮ মার্চ এর দুটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখতে পান। এসব প্রতিবেদনের একটি শিরোনাম ছিল ‘সাকা চৌধুরী কখনো যুদ্ধাপরাধী ছিল না : ড. রফিকুল হায়দার’ এবং আরেকটির শিরোনাম ছিল ‘যুদ্ধাপরাধীদের নিরপরাধ দাবি করে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের বক্তব্য’। ড. রফিকুল হায়দার বিএফআরআইয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে নিরপরাধ বলে দাবি করেছেন। তার বক্তব্যের ৪৪ সেকেন্ডের একটি অডিও ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হয়। অডিওতে বাদী শুনতে পান, ‘সালাউদ্দিন কাদের যুদ্ধাপরাধী ছিল না। ভালো মানুষ ছিল। তার এলাকায় খবর নাও। তার একটাই দোষ- হাসিনাকে আঘাত করেছে সংসদে দাঁড়িয়ে।’ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. রফিকুল হায়দারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। তিনি ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না’ বলে মন্তব্য করেছেন। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে আগামী ২৩ জুলাই।