কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়াস্থ গহিন পাহাড় থেকে তিন বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার মামলায় কারাগারে থাকা চার আসামির মধ্যে দ্জুনকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়েছে। গতকাল সকালে ওই দুই আসামিকে টেকনাফ থানার পুলিশ কারাগার থেকে আদালতের নির্দেশমতে রিমান্ডের জন্য নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. শাহ আলম খান।
রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া দুই আসামি হলেন, টেকনাফের মোচনী ক্যাম্পের আবু তাহেরের ছেলে শফি আলম বেলাল, শফির ভাগিনা এবং একই ক্যাম্পের আবদুল মতলবের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত।
টেকনাফ থানার ওসি মো. আবদুল হালিম জানিয়েছেন, গত ২৮ মে পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন কক্সবাজার চৌফলদন্ডী
উত্তরপাড়ার মোহাম্মদ আলমের ছেলে জমির হোসেন রুবেল, তার দুই বন্ধু ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগরপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপ ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান অপহৃত হন। ২৪ মে টেকনাফ পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গলিত মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ দুইজন এবং র্যাব ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। যে ৪ জনকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। ২৮ মে বিকালে টেকনাফ আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এহাসানুল ইসলাম শুনানি শেষে চার আসামির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে দুইজনকে গতকাল রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর দুইজনকে আগামীকাল রিমান্ডে নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রিমান্ড মঞ্জুর হয়ে কারাগারে থাকা এ মামলার অপর দুই আসামিরা হলেন, টেকনাফের মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবু সামাদের ছেলে সৈয়দ হোসেন ওরফে সোনালী ডাকাত, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিলের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে এমরুল করিম ওরফে ফইরা।