পরিবারের খেয়াল রাখতে গিয়ে ছেলেরা নিজেদের শরীরের ওপর খুব বেশি মনোযোগ দেন না। সারা দিনের ব্যস্ততার মাঝে শরীরের জন্য সামান্য সময় বার করার সুযোগ হয়ে ওঠে না কারো কারো। ফলে ডায়েট হোক কিংবা জিম, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো হয়ে ওঠে না বললেই চলে। কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সুস্বাস্থ্য। শরীরে কোনো বড় রোগ জেঁকে বসার আগেই ধরা পড়লে অনেক বড় ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। তাই ৪০ পেরোলে কিছু কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কোন ৫টি পরীক্ষা করাতে হবে?
মানসিক চাপ: ৪০-এ অনেকেই কর্মজীবনের মধ্যগগনে থাকেন। শুধু কাজেরই নয়, থাকে পারিবারিক চাপও। সব মিলিয়ে চাপ বেড়ে যায় মনের উপর। শুধু বাহ্যিক কারণেই নয়, নিজের মনেও মধ্যবয়সে অনেক রকম টানাপড়েন চলে। এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। প্রয়োজন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আর ৪০ পার করলে অনেকটাই বেড়ে যায় এই রোগের ঝুঁকি। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি। একদিন খালি পেটে রক্তপরীক্ষা করে জেনে নিন, আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কি না। অনেক সময় আগে থেকে পরীক্ষা করলে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না, ধরা পড়ে যায় তা-ও।
প্রস্টেট ক্যান্সার: পুরুষদের মধ্যে যে ক্যানসারগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তার মধ্যে প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সার অন্যতম। ৪০ পেরোলেই তাই এই গ্রন্থির পরীক্ষা করিয়ে নেয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময়মতো ধরা পড়লে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অত্যন্ত ভালো চিকিৎসা সম্ভব এই ক্যান্সারের।
লিপিড প্রোফাইল: রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগের সমস্যা ও স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই ৪০ পেরোলেই রক্তে স্নেহপদার্থের মাত্রা কত, তা পরীক্ষা করে জানা দরকার। আগাম সতর্কতা বাঁচিয়ে দিতে পারে প্রাণ।
হরমোন: টেস্টোস্টেরন নামক একটি হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে হাইপোগোনাডিজম নামক একটি রোগ হতে পারে। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুরুষ ৪০ বছর বয়সের পর এই হরমোনের সমস্যায় ভোগেন। তাই চল্লিশ পেরোলেই এই হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। পাশাপাশি পরীক্ষা করা দরকার ভিটামিন বি১২ ও সিরাম ফেরিটিনের মাত্রাও।