বিএনপি নেতাদের সঙ্গে জাপান রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সদস্য শামা ওবায়েদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে আমীর খসরু বলেন, কিছুদিন আগে বাংলাদেশে আসা জাপানি রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বিএনপির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছিলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক নির্বাচনিব্যবস্থা, বর্তমান মানবাধিকার যেগুলো নিয়ে আজকে সবার কনসার্ন, স্বাভাবিকভাবে তাদেরও কনসার্ন থাকার কথা, তারা জানতে চাচ্ছে, বাংলাদেশে কী হচ্ছে, আগামীতে কী হতে যাচ্ছে, আগামী দিনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে, এটা তারা বোঝার চেষ্টা করছেন।

বিএনপির তরফ থেকে কী বলা হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যা হচ্ছে তাই আমরা তুলে ধরেছি। এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, এরই মধ্যে গণতন্ত্রকামী দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছে। সুতরাং, জাপান তো আলাদা কোনো দেশ না। সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য।

আলোচনার অনান্য বিষয়বস্তু জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী এই কমিটির সদস্য বলেন, বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্ব, পার্টনারশিপ অনেক পুরোনো, জাপানের অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে আছে, তাদের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করছে, সরকারের অবকাঠামোর প্রজেক্টগুলোতে জাপান বিনিয়োগ করছে। সুতরাং, জাপান বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক দীর্ঘ, দেশ হিসেবে জাপান বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুব একটি গ্রহণযোগ্য দেশ। বেসরকারি খাতে অনেক বড় বিনিয়োগ আছে তাদের, সরকারের অবকাঠামোতে আছে, এইগুলো স্বাভাবিকভাবে আমাদের আজকে আলোচনায় এসেছে। আগামীতে সরকার বদল হলেও পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে জাপানের রাষ্ট্রদূত সেটির নিশ্চয়তা চেয়েছেন।

এছাড়া বিএনপির শাসনামলে জাপানের বিনিয়োগের কথাও আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী আমীর খসরু।

তিনি বলেন, আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম প্রচুর বিনিয়োগ জাপান থেকে এসেছে, প্রচুর অবকাঠামোগত বিনিয়োগ বাংলাদেশে ওই সময়ে হয়েছে। আমাদের সময়ে মুক্তবাজার অর্থনীতি যেটা শুরু করেছিলাম, তারপর থেকে জাপানের সাথে সম্পর্ক বাংলাদেশের অনেক বেশি বেড়ে গেছে।